Loading Now

আগস্ট থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় আগামী মাস থেকে বরিশাল বিভাগের প্রায় সোয়া ৫ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সারা দেশে ৫৫ লাখ পরিবারের মাঝে এ চাল বিক্রী কার্যক্রম ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরআগে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রায় ৫ লাখ পরিবারের মাঝে ৮ হাজার টন চাল বিক্রী করা হয়েছিলো।

গত কয়েক মাসে ‘ওএমএস কর্মসূচী’ ছাড়াও ‘টিসিবির ফ্যমিলি কার্ড এর আওতায় ৪ লাখ পরিবারের মাঝে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী কার্যক্রমের পাশাপাশি ২৪ টাকা দরে আটা বিক্রী অব্যাহত আছে। এছাড়া গত অক্টোবরে ইলিশ প্রজননকালের ২২ দিন এবং সাগরে ৬৫দিন মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা ও গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরিশাল অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ জেলে পরিবারের মাঝে আরো প্রায় ২০ হাজার টনের মত চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রায় ৫ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী কার্যক্রম চললেও এই প্রথম আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশালে উপকারভোগীর সংখ্যাও ২০ হাজারের অধিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে গত কয়েকমাস ধরে চালের বাজারের অস্থিরতা নিয়ে নি¤œ ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবরগুলোর অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমবে।

প্রায় ১৪ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত বরিশালে এখন মোটা চালের কেজি ৬০ টাকার কাছাকাছি। ব্রি-২৮ চালের কেজি ৬৫ টাকা। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি। গত কয়েক মাসে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে বরিশালে স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫০ হাজার টন চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রী ছাড়াও বিনামূল্যে জেলেদের মাঝে বিপুল চাল বিতরণের পরেও বরিশালে এসব খাদ্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে না আসার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল। তবে বাজার পর্যবেক্ষকরা সরকারের ওএমএস কার্যক্রমকে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি আরো নিবিড়ভাবে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষন সহ যেকোন উপায়ে খাদ্যপণ্যের মূল্য সরকারের নিয়ন্ত্রনে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা করেছেন।

১৫ টাকা কেজি দরে বরিশালের সোয়া ৫ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়া ছাড়াও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী আরো প্রায় পৌনে ৪ লাখ পরিবার মাসে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এছাড়া ওএমএস’এর আওতায় খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা দরে আটা বিক্রী কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এখনো প্রতিদিন বরিশাল মহানগরীতে ১০টি ট্রাক সহ ৩০জন ডিলার, ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা দরে আটা বিক্রী করছেন। একইসাথে বরিশাল অঞ্চলে ৫৬ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫৬ টন চাল ও ৯৩ টন আটা বিক্রী করছে খাদ্য অধিদপ্তর। এ কর্মসূচীর আওতায় গত কয়েকমাসে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার টন চাল ও ১০ হাজার টন আটা বিক্রী করা হয়েছে।

এর বাইরে টিসিবির প্রায় ৪ লাখ কার্ডধারীরাও গত ৬ মাসে প্রায় ১২ হাজার টন চাল পেয়েছেন ৩০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এতসব কর্মসূচীর পরেও চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে না আসায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই বর্ণনার বাইরে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED