আগৈলঝাড়ায় ভুল চিকিৎসায় ইউপি সদস্যের মৃত্যু, চিকিৎসক গ্রেপ্তার
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ।।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সাবেক এক ইউপি সদস্যার মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) মামলা দায়েরের পর পুলিশ চিকিৎসক কিরন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের সঞ্জিব বালা বলেন, আমার মা রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্যা লিপিকা বালা (৬০) গত শনিবার থেকে ডায়রিয়া ও সামান্য জ্বর আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
২৪ আগস্ট গুরুতরভাবে অসুস্থ্ হয়ে পড়লে এ সময় আমি প্রতিবেশী পল্লী চিকিৎসক কৃষ্ণ কান্ত বাড়ৈর ছেলে কিরণ চন্দ্র বাড়ৈকে খবর দেই। চিকিৎসক কিরণ চন্দ্র বাড়ৈ এসে মায়ের শরীরে স্যালাইন ও একটি ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেই মায়ের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মা মারা গেছেন। এ সময় মাকে মৃত ফেলে চিকিৎসক পালিয়ে যান।
আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাবেক নারী ইউপি সদস্য মারা যাওয়ার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, হাতুড়ে ওই চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় এর আগেও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অস্বীকার করে কিরণ চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, আমি চিকিৎসা দেওয়ার আগেই রোগী মারা গেছে।
অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিকিৎসক হিসেবে আপনার কোনো সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে চিকিৎসক কিরন চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, আমার শুধু ৫ মাসের একটা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ ছাড়া আর কোনো সার্টিফিকেট নেই।
আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ অলিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মৃত লিপিকা বালার ছেলে শিক্ষক সঞ্জিব কুমার বালা বাদী হয়ে ভুল চিকিৎসায় তার মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ এনে সোমবার সকালে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পল্লী চিকিৎসক কৃষ্ণ কান্ত বাড়ৈর ছেলে কিরণ চন্দ্র বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।
Post Comment