Loading Now

আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেক্স ।।

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। রায়ে বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন – নিহত শিশুর বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০)।

শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় এলো। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশের একটি প্রিজনভ্যানে করে চার আসামিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।

গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। গত ৭ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে শেষ হয় আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় আজ শনিবার ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।

রায়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রসিকিউটর অ্যাটর্নি জেনারেল সমমর্যাদা সম্পন্ন বিশেষ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল হক সমাজি বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষকের বিচার নিশ্চিত করতেই এমন রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আইন অঙ্গনে। এই রায়ের মাধ্যমে কোনো অপরাধী অপরাধ করে পার পাবে না – সে বার্তাই দেওয়া হয়েছে সমাজকে।

নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে মাগুরা সদর উপজেলায়। রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED