Loading Now

আন্তঃদলীয় সম্প্রীতি সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের গন স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

১৩ নভেম্বর শনিবার বরিশাল নগরীর একটি কনভেনশন হলে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) আয়োজনে “আন্তঃদলীয় সম্প্রীতি সংলাপ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সহায়তায় এবং এফসিডিও-এর অর্থায়নে অনুষ্ঠিত সভায় বরিশালের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ, এমএএফ সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, যুব প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এমএএফ বরিশাল-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বরিশালের রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিতে এবং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে দল-মত নির্বিশেষে একযোগে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বরিশালের পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। দলগুলো হল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল – বাসদ। তাদের সহিংসতাবিহীন অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্র পাঠ করে শোনানো হয় উক্ত সংলাপে।

বক্তারা সকলেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের জোড় অবস্থান ও অন্যান্য দলের প্রতি আহ্বান জানান। সংলাপের শুরুতে ও শেষে “রাজনৈতিক সম্প্রীতি বোর্ড”-এ নেতাদের স্বাক্ষরের সাথে স্বাক্ষর করে ঐক্যমত ব্যক্ত করেন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা। একই সাথে উল্লেখ করেন তাদের মন্তব্যও৷

দলীয় নেতা ও প্রার্থীদের স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্রে লেখা হয়েছে:

“আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাধারন জনগণ এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য বহুল আকাঙ্খিত এক নির্বাচন৷ সাধারন জনগণ চায় নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ এবং সহিংসতাবিহীন একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন। এই জনআকাঙ্খাকে বাস্তব রূপ দিতে বরিশালে- রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যক্তিপর্যায়ে সচেষ্ট থাকবো এবং নির্বাচন সংক্রান্ত কোন সহিংসতায় জড়াবো না৷
দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার নির্দেশনা ও আন্তরিক আহ্বান জানাবো।
কোথাও কোন সহিংসতার পূর্বাভাস পেলে, দ্রুততার সাথে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচেষ্ট থাকবো।

ভিন্ন দল থেকে সহিংসতার সূত্রপাত হলে আক্রমাণত্মক না হয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবো।
ভিন্ন পক্ষের প্রার্থী বা নেতা-কর্মীদের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অনলাইন বা অফলাইন কোন মাধ্যমেই প্রচার করবো না এবং অন্যদেরও না করতে অনুপ্রাণিত করবো৷
নির্বাচনী আইন মেনে চলবো এবং ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রাখবো।

এভাবে আমরা বরিশালের রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিতে এবং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে দল-মত নির্বিশেষে একযোগে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করলাম।”

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED