আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর পিতাকে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করলো আ’লীগ নেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর পিতাকে সেনাবাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশাল নগরীর চৌমাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত গ্লোবাল ভিলেজ ইউনিভার্সিটি ছাত্র মোঃ রেজাউল। এতে রেজাউলের রিক্সা চালক বাবা মোঃ সোহরাব হোসেন (৬৪) কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। কিন্তু এ মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে সোহরাব হোসেনকে। সূত্র জানায় শিক্ষার্থী রেজাউল গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার বৃদ্ধ বাবা বরিশাল সদর উপজেলার বিশ্বাস বাড়ী মঙ্গলহাটার সোহরাব হোসেন ঘটনার সাথে জড়িতোর অভিযোগে আ’লীগ নেতা আহম্মেদ শাহরিয়ার বাবু গংদের ১০৭ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় জি.আর মোং নং-৫৬১/২০২৪ দায়ের করে। অভিযুক্তরা ওই মামলায় ফেঁসে যাবার আশংকায় দীর্ঘদিন ধরে মামলার বাদী অসহায় দিনমজুর সোহরাব হোসেন ও তার ছেলে রেজাউলকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গতকাল রবিবার রায়পাশার আসামী ইয়াকুব আলী হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ আলী খোকন, দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন, মধ্যকড়াপুরের দেলোয়ার হোসেন মুন্না, আনোয়ার হোসেন পলাশ, জোনাব আলীর ছেলে কে এম আনিছুর রহমান জয়নাল,কড়াপুর ২নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম মিরন সহ অপরিচিত আরো কয়েকজন মিলে সোহরাব হোসেন ও তার ছেলে রেজাউলকে বাড়ি থেকে সু-কৌশলে আদালতে এনে আইনজীবী সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে। মামলা তুলে নেয়ায় সোহরাব হোসেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। অসহায় সোহরাব হোসেন এখোন বলছে আমাকে সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। বর্তমান সরকারের কাছে আমার গুলিবিদ্ধ সন্তানের জন্য চিকিৎসা সহায়তা চাই। যারা আমার সন্তানকে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলো তাদের সকলের বিচার দেখে মরতে চাই।
Post Comment