আসাদুজ্জামান নূর তার এলাকার অনেক তরুণকে মেরে ফেলেন: হাদি
অনলাইন ডেক্স ।।
ক্ষমতায় থাকাকালীন অভিনেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার এলাকার সম্ভাবনাময়ী বিরোধীদলীয় অনেক তরুণকে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
‘খুব সম্ভবত ২০১৩ সালের কোনো এক হরতালের দিনে আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা হয়। ওই হামলায় দুইপক্ষের চারজন মানুষ মারা যায়। লীগের অনেকেই বলছিল যে, ওই হামলা চালায় স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। একটা মামলাও হইছিল।’
‘কিন্তু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, আসাদুজ্জামান নূরই ওই মামলারে বেশি আগাইতে দেন নাই। মামলার ১০ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণও করা হয় নাই। কারণ, নূর জানতেন ওই ঘটনায় তার নিজের দলের লোকই জড়িত ছিল।’
‘কিন্তু প্যাথেটিক বিষয় হইলো, এই হামলাকে কেন্দ্র করে সুমিষ্টভাষী অভিনেতা, বিশিষ্ট নাট্যজন জনাব আসাদুজ্জামান নূর তার এলাকার পটেনশিয়াল অনেক বিরোধীদলীয় তরুণকে মেরে ফেলেন। এমনকি, মামলায় আসামি থাকা ছাত্রদল-শিবিরের অনেক নেতার লাশ পাওয়া যায় উইদিন উইকস।’
‘লীগ যখন ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট হওয়া স্টার্ট করল, তখন তারা সাইমুলটেনিউসলি রোকেয়া প্রাচী, আসাদুজ্জামান নূরদের সামনে নিয়ে আসে। যাতে তাদের সফট পাওয়ার দিয়ে জনরোষকে ঠেকানো যায়। বিটলারের ওল্ড ডার্টি গেম আরকি।’
‘নূর সাহেব সেই রোলও ভালোভাবে প্লে করে গেছেন; যেহেতু গুণী অভিনেতা। এর বাইরে এমপি- মন্ত্রী হয়ে দেশের কোটি টাকা বিদেশে পাচার, দেশের গণতন্ত্র, ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংসে সামনের সারিতে থেকে কাজ করে গেছেন। জুলাইয়ে যখন রিয়া গোপদের গুলি করে মারতেছিল, নূরের চ্যালাপেলারা বিটিভি ভবনে যেয়ে কান্নাকাটি করছিল।’
সবশেষে ওসমান হাদি লিখেছেন, ‘যারা গতকাল এই ফ্যাসিস্টের জন্মদিনে আবেগাপ্লুত হয়ে পোস্ট দিছেন, তারা যাতে মনে না করেন আমরা নূরদের শয়তানি ভুলে গেছি। নূরদের আমরা ভুলবো না; ভুলতে দেব না, ইনশাআল্লাহ।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ছিল আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন। এদিন শোবিজ অঙ্গণের অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান। ১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নূর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়।



Post Comment