একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ
অনলাইন ডেক্স ।।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
এছাড়া আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরেও ফলাফল এসএসএসের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে, ভর্তির ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশের ঘোষণার সঙ্গে জানানো হয়েছে, প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে যেসব শিক্ষার্থী কলেজ পেয়েছেন, তাদের নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ করে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে, রেজিস্ট্রেশন ফি বা নিশ্চায়ন ফি দেওয়ার জন্য বিকাশ, সোনালী ই-সেবা, সোনালী ওয়েব, ইউসিবি উপায়, ডিবিবিএল রকেট, ওয়ান ব্যাংক ওকে ওয়ালেট, ট্রাস্ট ব্যাংক ট্যাপ ও নগদের মধ্যে যে কোনো একটি থেকে ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের পদ্ধতির বিস্তারিত ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়। এ সময়ে আবেদন করেন ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী।
ভর্তি কমিটির সদস্যরা জানান, দেশের সব কলেজ ও মাদরাসায় কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশে ভর্তির আবেদন নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে গত ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়েছে। এইচএসসি ও আলিমের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এ আবেদন নেওয়া হচ্ছে। কারগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া ভিন্নভাবে নেওয়া হয়।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৩ লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন পাস করেন। পরে ফল পুনর্নিরীক্ষণে ৪ হাজার ৭৯২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেন। সবমিলিয়ে পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮ হাজার ২১৮ জন।
এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৪১১ জন। কারিগরি থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়াই এবার স্কুল-মাদরাসা থেকে এসএসসি ও দাখিল পাস করেছেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৮০৭ জন। সে হিসাবে এসএসসি ও দাখিল পাস করেও একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদন করেননি ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ জন।
একাদশে ভর্তি সংশ্লিষ্টরা জানান, পছন্দক্রম ও ফলাফলের সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয় না। পাশাপাশি প্রথম ধাপে কিছু শিক্ষার্থী আবেদনও করেন না। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
Post Comment