Loading Now

একে স্কুলের কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ বাবুর বিরুদ্ধে

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী যে কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আছমত আলী খান (এ কে) ইনিষ্টিটিউট। স্কুলটিতে ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্টজন হওয়ার কারনে পর পর দুই মেয়াদে এবং পরে আরো একবার সভাপতির পদ দখলে রাখেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বাবু। এরপর সভাপতির পদে আসীন হন আওয়ামী লীগ নেতা ও আইনজীবী এ্যাড.গোলাম মাসউদ বাবলু। আজকের পরিবর্তনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে হাসান মাহমুদ বাবুর সীমাহীন দুর্নীতির চিত্র। সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে দুই বছরে স্কুলের কোটি টাকা লুটপাটের প্রমান পাওয়া গেছে বাবুর বিরুদ্ধে। এ লুটপাটের বড় একটি অংশ পেতেন সাদিক আবদুল্লাহ। চলতি বছরের অডিট রিপোর্টেও উঠে এসেছে বাবুর দুর্নীতির কিছু তথ্য। জানা গেছে সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে বাবু স্কুলটিকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মত ব্যবহার করেছেন। যখন যে খাতে যেমন খুশি অর্থ ব্যয় করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও শুকান্ত বাবুর ছবি বাধাই করতে ব্যয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া স্কুলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মান করে ব্যয় দেখিয়েছেন প্রায় ৫ লাখ টাকা। এর বাইরে স্কুলে ২ জন পিয়ন নিয়োগ, খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে উৎকোচ নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। স্কুলের ছাদসহ বিভিন্নভাবে মেরামত বিল করেও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বাবু। তবে সুচতুর বাবু আত্মসাতের সকল বিল একটি কমিটির মাধ্যমে পাশ করিয়ে নিয়েছেন। একই সঙ্গে বিল সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র নিজের কাছে নিয়ে রেখেছেন।
স্কুলের সামনে অবস্থিত স্টল বরাদ্দ দিয়ে সুকৌশলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বাবু। জানা গেছে, স্কুলের জমিতে নগরীর ২৪টির মত স্টল রয়েছে। এরমধ্যে একাধিক ব্যাংকের শাখাসহ বেশ কয়েকটি বড় স্টল রয়েছে। বাবু তার সময়ে এসব স্টল পুন:নির্মান করে বরাদ্দ দেন। যার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে এ্যাড.গোলাম মাসউদ বাবলু বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে দিয়ে পূর্বের ৩ বছরের আয়-ব্যয়ের সকল বিষয় অডিট করিয়েছিলাম। রিপোর্টে বেশ কিছু জায়গায় অস্বাভাবিক গড়মিল পাওয়া গেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইরীন পারভীন বলেন, যখন যে সভাপতি আসে তখন সে তার মত করে স্কুল পরিচালনা করে। এখানে প্রধান শিক্ষকের কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে না। সবশেষ সভাপতি গোলাম মাসউদ বাবলু যে অডিট করিয়েছিলেন তার চূড়ান্ত রিপোর্ট আমাকে দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমি অডিটর কে অনেকবার ফোন করে রিপোর্ট চেয়েছি কিন্তু তিনি দেননি।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED