কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ, স্বস্তি নেই মাছ বাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও বাড়ছে চাপ ভোক্তাদের ওপর। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো কমেনি দামের ঝাঁজ। পুরোনো পেঁয়াজের দামে চড়া ভাব বজায় রয়েছে। সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছের দামে বিশেষ কোনো পরিবর্তন নেই, এর দাম সব সময় বাড়তিই থেকে যায়। পাইকারি বাজারে মাছের দামে কিছুটা এদিক-সেদিক হলেও খুচরা বাজারে সে প্রভাব এসে পৌঁছায় না।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। পেঁয়াজ দাম দু’এক টাকা কম বেশি ছাড়া একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দু’এক রকমের মাছ ছাড়া বেশিরভাগ মাছের দামই বাড়তি দেখা গেছে।
বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কম হলেও তা দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।
পেঁয়াজ পট্টির একজন আড়তদার বলেন, আমদানি করা এবং মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ খুব একটা বেশি নেই। অল্প পরিসরে যেমন আমদানি হচ্ছে, তেমনই মুড়িকাটাও উঠছে খুব কম। এখনো সব পাইকারি দোকানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়েনি। এ কারণে দামটাও বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে শুরু করবে।
তবে পেঁয়াজের চড়া দামের মধ্যেও ভোক্তার স্বস্তি ফিরছে সবজিতে। কারণ, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নানান ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম নেমে এসেছে ৪০ টাকার নিচে।
খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। অন্যদিকে, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে।
এছাড়া বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা দামে।
বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭০-২৯০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।
গত রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৩ টাকা। এতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয় ১৯৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।
৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১৭৬ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায়। তবে বাজারে অন্য মুদি পণ্যগুলোর দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি চাষের শিং ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি তেলাপিয়া আকার ভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শোল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



Post Comment