Loading Now

কাঁচামরিচ নিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নাটক, কেজি ৫০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বরিশালে কাঁচা মরিচ নিয়ে চলছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট৷ দ্বিগুণ থেকে তিন গুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে কাঁচামরিচ। পাইকারী বাজারে দাম কিছুটা কম থাকলেও খুচরা বাজার চড়া। ফলে কিছু দিন পর পর কাঁচা মরিচ নিয়ে বরিশাল বাজারে চলে নাটকীয়তা। কারন দক্ষিনাঞ্চলে যে পরিমান কাঁচা মরিচের ফলন হয় তা দিয়ে কমপক্ষে ১০/১৫ চলা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচ কম, পণ্যের গাড়ি না আসা সহ বিভিন্ন অজুহাতে কয়েক গুন দাম বাড়িয়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা। এদিকে অপর একটি সূত্র জানায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ এসেছে তারপর ও মরিচের দাম বাড়তি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এমন একটা সিন্ডিকেট যা একবার দাম বাড়ানো হলে কমার কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সপ্তাহের আগে কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ১৬০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজার মনিটরিং সেলের সদস্যদের বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগে সদ্ব্যবহার করছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বরিশালের পাইকারি সবজির বাজার, বহুমুখী সিটি মার্কেট, বড়বাজার, পোর্ট রোড বাজার, বটতলা বাজার, নতুনবাজার, বাংলাবাজার, চৌমাথা বাজার, সাগরদী বাজার, জেলখানা মোড়, কাউনিয়া বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অতি বৃষ্টিপাতের কারণ এবং পূজার ছুটিতে বর্ডার বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যার ফলে কাঁচা মরিচের মূল্যে প্রভাব পড়েছে। তবে পূজার ছুটি শেষে কাঁচা মরিচের চালান আসায় সরবরাহ বাড়লেও দাম আকাশ চুম্বি।

নগরীর নাজিরেরপুল এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা আল-আমিন জানান, পাইকারি বাজারের তরিতরকারি বেশি দামে কিনে আনতে হয়। পাইকারি তুলনায় খুচরা সবজির দাম কিছুটা বেশি হবে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে কাঁচা মরিচ কিনে লেবার খরচ, ভ্যান ভাড়া দিয়ে আনতে হয়। তার মধ্যে বৃষ্টির কারণে সব জায়গাতেই খরচ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়। এছাড়াও বাজারে বিক্রি করতে হলে ইজারা, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

বরিশাল নগরীর সবজির পাইকারি বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বাণিজ্যালয়ের প্রোপাইটর মো. আমিন জানান, পূজার ছুটির কারণে কাঁচা মরিচ সরবরাহ কম থাকায় এ সপ্তাহে দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেশি। এ সপ্তাহে আমদানি বাড়লে খুচরা বাজারে দাম কম হবে।

এদিকে ভারত থেকে ৬৫ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শনি ও রবিবার এসব মরিচ আমদানি করা হয়। রবিবার রাত থেকেই বিভিন্ন স্থানে কাঁচা মরিচ সরবরাহ করা হয়। তবে আজ সোমবার বাজারে সরবরাহ বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।

 

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED