Loading Now

কুয়াকাটা-সুন্দরবন নৌরুট চালুর উদ্যোগে সমুদ্রপথ পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

কুয়াকাটা প্রতিনিধি ।।

কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত নতুন নৌরুট চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সমুদ্রপথ পরিদর্শন করেছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা থেকে স্পিডবোটে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে সমুদ্রে পথে এই রুট পরিদর্শনের উদ্দেশ্য তিনি বের হন। এ সময় কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা তাদের সঙ্গে ছিলেন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, এই পরিদর্শনের মাধ্যমে কুয়াকাটা থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সঙ্গে সহজ ও নিরাপদ নৌপথ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।

উদ্যোগটির উদ্দেশ্য পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানো। এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে পারলে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কাউছার হামিদ বলেন, নৌপথের নিরাপত্তা, সময়সাপেক্ষতা ও পর্যটকদের জন্য সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে প্রথমে। নৌরুটটি চালু হলে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পর্যটকেরা এক নৌ ভ্রমণের মধ্য দিয়েই একদিকে কুয়াকাটায় সমুদ্রস্নান, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন, অপরদিকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন। আমরা আশা করছি সব দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ করে এটি চালু করতে পারব।

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার বলেন, সরকার পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই নৌ রুট চালু হলে এটি একটি বড় অর্জন হবে। আমরা বাস্তব সম্ভাবনা যাচাই করছি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত একটি সরাসরি নৌরুট চালু হলে দেশের পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াছিন সাদেক, কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নির্বাহী সদস্য রাসেল খান, শাহীন মুন্সি, কেএম বাচ্চুসহ কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED