কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পাশে বসেই সাংগঠনিক কাজ করেন পদস্থগিত নেতা মঞ্জু!
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দলের পদ স্থগিত হওয়া নেতাদের নিয়ে যেন বিতর্ক থামছে না।একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত।আগামী ১৭ মে খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভায় স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বালু কান্ডে পদ স্থগিত হওয়া বরিশাল মহানগর আহবায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু। যাকে ঘিরে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়।তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ঐ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান।
সুত্র জানায়, ১৩ মে সদর রোডস্থ বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যেখানে দেখা যায় বরিশালের আলোচিত বালুমহল কান্ডে ৩ মাসের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পদস্থগিত হওয়া বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে ঐ সভায় উপস্থিত হন। এবং আলোচনার টেবিলে প্রথম কাতারেই বসা ছিলেন।একই সাথে মশিউর রহমান মঞ্জু বিভিন্ন স্থানে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে শুভেচ্ছা জানিয়ে আহবায়ক পরিচয় দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে যা ফেসবুকে এ তার কর্মী সমর্থকরা প্রচার করেছে।
গত ২৭ মে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দলীয় প্যাডে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সাক্ষরে তার এই পদ স্থগিত করা হয়। হিজলা উপজেলার সৈয়দ খালিতে বালু মহাল ইজারা নিয়ে বরিশাল ডিসি অফিসে টেন্ডার নিয়ে এক সেনা সদস্যকে অপহরণ করে মারধর ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্র থেকে এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয় ।একই সাথে ঐ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মঞ্জু এজাহারনামীয় আসামি। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে দলীয় নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ১৩ই মে সকালে সদর রোড বরিশাল বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক পাশেই অবস্থান করতে দেখা যায় তাকে ।
বরিশালে বালুমহলের দরপত্র নিয়ে সংগঠিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৮ জন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ জন ও জেলা ছাত্রদলের একজনকে তিন মাসের জন্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।যার মেয়াদ আগামী ২৬ জুন শেষ হবে। এ বিষয়ে দলগতভাবে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দলের তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ এই লোক দেখানো বহিষ্কার বা পদ স্থগিত কিংবা শোকজ করে লাভ কি ? এতে মানুষ হাঁসে এবং এ সকল নেতাদের দুবৃওায়ন আরও বেড়ে যায়। যার ফলে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং দলের বদনাম হয় বলে মনে করেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ।
উক্ত বিষয়ে জানতে স্বেচ্ছাসেবক দলের
কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান এর বিষয়ে বলেন হয়ত তার বেখেয়ালে এমনটা হয়েছে। কারন একটি বড় কর্মসূচি তার কাধে।তবে মশিউর রহমান মঞ্জুর সতর্ক হওয়া উচিত এবং দলীয় পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। তাকে আবারো সতর্ক করা হবে।
উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পদস্থগিত আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি
Post Comment