Loading Now

খালেদাকে সাজা দেওয়া বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ

অনলাইন ডেক্স ।।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে আলোচনায় আসা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানায়।

 

জানা গেছে, প্রথমে তিনি রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি পাঠান। এরপর সেটি প্রধান বিচারপতির দফতরে আসে আজ। প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগপত্রটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একইসঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ১২ বিচারপতির মধ্যে আখতারুজ্জামানও রয়েছেন। তাকে ছুটিতে পাঠানোর পর ব্যাখ্যা দিতে তলব করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। গত ১ জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়। সেই ব্যাখ্যা দিয়েই প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

আখতারুজ্জামান ১৯৯১ সালের ২৭ মে জেলা আদালতে তার আইনি অনুশীলন শুরু করেন। ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিচার বিভাগীয় শাখায় যোগদান করেন এবং সহকারী বিচারক নিযুক্ত হন।

আখতারুজ্জামানকে ১৪ জুন ২০১৫ তারিখে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ছিলেন।

২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আখতারুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত করা হয়। ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED