খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি
অনলাইন ডেক্স ।।
রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। তার নাম মোতালেব শিকদার। তিনি এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং দলটির শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক।
তিনি সোনাডাঙ্গা শেখপাড়া পল্লী মঙ্গল স্কুল এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় তার মাথা লক্ষ্য করে এই গুলি ছোড়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু।
তিনি জানান, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) একটু আগে মোতালেব শিকদারের ওপর প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অনিমেষ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মোতালেব নামের ওই ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার কানে গুলি লেগেছে।
পরবর্তীতে মাথার সিটি স্ক্যান করানোর জন্য তাকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নেয়া হয়েছে।
এনসিপির খুলনা জেলা ও মহানগরের সংগঠক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, সোনাডাঙ্গা এলাকায় মোতালেব সিকদা গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুলনা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে খুলনায় অহরহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নদীতে লাশ মিলছে। প্রশাসনের নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তা আমাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। খুলনা এখন কিশোর গ্যাং আর সন্ত্রাসীদের নগরে পরিণত হয়েছে। পুলিশ যে গুটি কয়েক সন্ত্রাসীদের আটক করছে, তারা আবার কোর্ট থেকে অতি সহজেই জামিন নিয়ে ফিরে এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। আর এই সবগুলো সন্ত্রাসী গ্রুপই শেখ বাড়ি ও আওয়ামী নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট। নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী নেতাদের মদদেই সন্ত্রাসীরা খুলনাকে অশান্ত করার আর আমাদের প্রাণ নেওয়ার মিশনে নেমেছে। জুলাইযোদ্ধারা বেঁচে থাকার স্বাধীনতা চায়।



Post Comment