Loading Now

খোকন সেরনিয়াবাত ও সাদিক আবদুল্লাহর দুর্নীতি, বিসিসির ১৯ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

পলাতক শেখ হাসিনার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক দুই মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত ও সাদিক আবদুল্লাহর দুর্নীতি তদন্তে ১৮ কর্মকর্তা কর্মচারীর সাক্ষ্য নিয়েছে বরিশালের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে তলব করে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন সহকারী পরিচালক আবদুল কাইয়ুম হাওলাদার।

 

সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিসিসির সাবেক সচিব মাসুমা আক্তারও রয়েছেন। বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় সংস্থাপন বিভাগে কর্মরত মাসুমা আক্তার ছাড়াও অন্য যাদেরকে দুদকে তলব করা হয়।

 

তারা হলেন- বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা লকিতুল্লাহ, উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস, সার্ভেয়ার তাপস, নাছির, মশিউর, আর্কিটেক্ট সাইদুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল, সম্পত্তি শাখার ফিরোজ ও মাহবুবুর রহমান শাকিল, প্ল্যান শাখার লোকমান ও কালটু, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামাল ও সাইফুল ইসলাম মুরাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।

 

তথ্যমতে, এরা সবাই তাদের নাম, পদবি, বিভাগ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্যের কাগজপত্র জমা দিয়েছে। বিসিসির টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ড, সম্পত্তি ও অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য, দিঘীর মালিকানা ও বালু ভরাট সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে বিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে ব্যানার তৈরির জন্য বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকার হিসাব চেয়েছিল দুদক।

 

সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের ফেসবুক পেজ বুস্টিংয়ের বরাদ্দ করা ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার রেকর্ড, ল্যাপটপ, ড্রোন, ফার্নিচার, মনিটরসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার কেনাকাটার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন এই ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সাক্ষ্য দেওয়া বিসিসির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কে বা কারা ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদেরকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংশ্লিষ্ট বেনামি দরখাস্তগুলোতে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি ও সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে যাবতীয় প্রমাণপত্রসহ আমাদের জবাব বুঝিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্য দুদক বরিশাল দপ্তরের কেউ গণমাধ্যমের কাছে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্র: যুগান্তর,,,,,

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED