Loading Now

গাজা থেকে ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হামাসের

অনলাইন ডেক্স ।।

গাজা থেকে প্রায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর মধ্যে বেশিরভাগই সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে বলেও জানায় দখলদার বাহিনীটি। খবর-আল জাজিরা।

ইসরায়েলি সংবামাধ্যম হারেৎজ এর প্রতিবেদনের বরাতে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো আশকেলন এবং গ্যান ইয়াভনে পড়েছে, যার ফলে কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন।

বর্তমানে ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। সঙ্গে সেখানে এক মাস ধরে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদাররা। এতে সেখানকার পরিস্থিতি ‘দমবন্ধকর’ হয়ে পড়েছে।

 

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৬০৯ জন এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১৫ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

 

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ধর্মঘটের ডাক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস নামের একটি গোষ্ঠী। সোমবার পুরো ফিলিস্তিনের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে এই ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

রোববার এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস বিশ্বজুড়ে ধর্মঘট সফল করতে সবার প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে প্রতিরোধের কণ্ঠস্বর জোরাল ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা ও অপরাধকে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED