গৌরনদীতে যুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৯

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥

রাস্তায় বালুর ট্রাক ঢোকানাকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে দুইজনকে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন-যুবদল কর্মী ফারুক সরদার, রাসেল হাওলাদার, সুজন মুন্সী, রাসেল খন্দকার, হাসান, ছাত্রদল কর্মী কাইউম হাওলাদার। অপরপক্ষের ছাত্রদল কর্মী হৃদয় সরদার, যুবদল কর্মী বেল্লাল হোসেন, আরমান। আহতরা সাবেক সংসদ সদস্য এম জহির উদ্দিন স্বপন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান সমর্থক বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে আমাদের একটি বালুর ট্রাক মাহিলাড়া থেকে নলচিড়ার দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে মাহিলাড়া লালপুল নামক এলাকায় পৌঁছলে চালকের সঙ্গে হৃদয় সরদার ও তার সহযোগীদের কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে যুবদলকর্মী রাসেল খন্দকার, সুজন মুন্সীকে ঘটনাস্থলে পৌছে চালকের পক্ষ নিয়ে হৃদয়ের উপর হামলা চালায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যুবদল নেতা রাসেল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, যুবদল নেতা সবুজ সিকদার ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ছয়জনকে আহত করেছে। এরমধ্যে আমি ও ফারুক শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবদল নেতা সবুজ সিকদার বলেন, সকালে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কে বালু বোঝাই ট্রাক ঢোকানোর সময় ছাত্রদলকর্মী হৃদয় সরদারের মোটরসাইকেলের সাথে ট্রাকের সংষর্ঘ হয়। এতে হৃদয় আহত হয়। এসময় ভারী ট্রাক রাস্তায় কেন ঢোকানো হয়েছে তা ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলে হৃদয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ট্রাক ড্রাইভার। এনিয়ে হৃদয়ের সাথে ড্রাইভারের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চালকের পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা মনির, রাসেল, সুজন, মোয়াজ্জেম, কবির চোকদার সহ ১০/১৫ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদল কর্মী হৃদয়, যুবদল কর্মী বেল্লাল ও আরমানকে ব্যাপক মারধর করে। পরে দ্বিতীয় দফায় মাহিলাড়া বাজারে হৃদয় সরদারের ভ্যারাইটিজ দোকান, বসতবাড়ি ও বিএনপি কর্মী মুজাহার সন্যামতের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।