Loading Now

গ্যাস, মেডিকেল কলেজ ও সেতুর দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।

ভোলার গ্যাস ভোলায় রাখা, সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে বাংলাস্কুল মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে ‘আগামীর ভোলা’। এতে ছাত্র-জনতা, বিএনপি, বিজেপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হলে ২৭ এপ্রিল ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় সচিবালয় ঘেরাও করা, প্রয়োজনে উপদেষ্টাদের বাস ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বাংলাস্কুল মাঠের সমাবেশস্থলে আসেন।

বেলা ১১টা থেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। সব বক্তা খাদ্য উদ্বৃত্ত ভোলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি জানান। ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেয়ার পর অন্যত্র নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

এছাড়া ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই দাবিতে আগামী ২৭ এপ্রিল ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

আগামীর ভোলার মুখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, বিজেপির জেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ খালেদা খানম, পৌর জামায়াতের আমির জামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মাসুদ, সদস্য সচিব মুনতাছির আলম চৌধুরী রবিন,

জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক আল আমিন, ছাত্রদল নেতা নুর মোহাম্মদ রুবেল, ইসলামী ছাত্র শিবির শহর শাখার সভাপতি আবদুল্লাহ আলামিন, ভোলা থিয়েটারের সেক্রেটারি তালহা তালুকদার বাঁধন, সাংবাদিক নেতা মনিরুল ইসলাম, ছাত্র সমন্বয়ক রাহিম হোসেন, মেহেদী হাসান ও ছানাউল্লাহসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে আগামীর ভোলার মুখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিম ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হলে ২৭ এপ্রিল ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় সচিবালয় ঘেরাও করা, প্রয়োজনে উপদেষ্টাদের বাস ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এরপরও অধিকার আদায় না হলে ভোলা স্ট্রাইক ও সকল কর বন্ধ করে দেয়ার মতো কর্মসূচি নেয়া হবে।

সমাবেশ শেষে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান আন্দোলনকারীরা। ডিসি অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তারা। এ সময় ৩ দফা দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকলিপি গ্রহণের পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।

উল্লেখ্য, ভোলার গ্যাস স্থানীয়দের না দিয়ে ঢাকায় নেয়ার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন আন্দোলন করছেন ছাত্র-জনতা। শুক্র ও শনিবার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ইন্ট্রাকো কোম্পানির ৮টি গাড়ি আটক করেছিল আন্দোলনকারীরা।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED