Loading Now

চলাচলের রাস্তায় বেড়া, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্লা বাড়ি গ্রামে ১০ লাখ চাঁদা দাবিতে চলাচলের পথে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন স্থানীয় আলম শিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই পথে চলাচল করা একাধিক পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিন বিল্লা বাড়ি গ্রামে দেখা যায়, মতাশার ও বিল্লা বাড়ি বর্ডার এলাকার রাস্তাটির মাঝখানে বাশেঁর বেড়া দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বেড়ার কারণে স্থানীয় লোকজনদের পাশের খাদ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ট্রাকচালক আলম শিকদার তার পরিবারের লোকজন নিয়ে রাস্তা বাঁধার কারণ দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন ওই এলাকার স্থানীয় জমির মালিকদের কাছে। পরে টাকা না দেওয়ায় রাস্তাটি বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছেন।

স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব সোহরাব গাজী বলেন, ‘রাস্তাটি আটকে দেওয়ায় মানুষের হাঁটাচলা ও গরু-ছাগল নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। বেড়ার পাশ দিয়ে নেমে ডোবা পার হয়ে ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।’

কথা হয় জমির মালিক আবদুল ওহাব মাস্টারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে যখন এখানে জমি কিনেছি তখন এই রাস্তাটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত দেখানো হয়েছে। হঠাৎ করেই দুই সপ্তাহ আগে রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেন আলম শিকদার ও তার পরিবারের লোকজন। পরে জানতে পারি, ২০০৩ সালে নাকি তারা মাটির রাস্তাটি বাঁধাই করেছে। এখন লেবার খরচ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন।

আবদুল ওহাব আরও বলেন, আশপাশের অনেক জমির মালিক রয়েছেন যাদের এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হয়। সবাই মিলে বসে স্থানীয় সালিশে আলম শিকদারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে আমি একাই তিন লাখ টাকা ও অন্যান্য জমির মালিক বাবুল চাপরাশি ও তার ওয়ারিশরা বাকি দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হই। এখন তারা সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যে কারণে রাস্তাটি ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেখানে দেওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।’

এ বিষযে অভিযুক্ত আলম শিকদার বলেন, তাদের কাছে রাস্তার জন্য কোনো চাঁদা চাওয়া হয়নি। মূলত ২০০৩ সালে কয়েকজন শ্রমিক ও আমি নিজে মিলে মাটি কেটে রাস্তাটি বাঁধাই করেছি। এখন ওই এলাকার বিভিন্ন ওয়ারিশরা তাদের জমি বিক্রি করছেন নতুন নতুন লোকজনের কাছে। তাই রাস্তা বাঁধাইয়ের খরচ বাবদ কিছু টাকা দাবি করা হয়েছে। টাকা দিলে বাঁশের বেড়া তুলে ফেলা হবে।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, কোনোভাবেই জনগণের চলাচলের পথ আটকানোর সুযোগ নেই। সরেজমিন বিষয়টি দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED