Loading Now

ছুটি শেষে চেনা রূপে ফিরেছে বরিশাল, সড়কে যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ঈদের টানা নয় দিনের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন বরিশালবাসী। এরই মধ্যে খুলেছে অফিস-আদালত। ফলে একদিকে যেমন শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা, অন্যদিকে নগরীও ফিরেছে তার চিরচেনা রূপে। বরিশালের সড়কে বেড়েছে কর্মচঞ্চল মানুষের পদচারণা, ফলে বেড়েছে যানজট। দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে সড়কগুলো ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা দৃশ্য।

রোববার (৬ এপ্রিল) বরিশালের সদর রোড, গির্জা মহল্লা , ফজলুল হক এভিনিউ , কাঠপট্টি, পোর্ট রোড , বাংলা বাজার, রুপাতলী, সাগরদী, নতুল্লাবাদ স্টান, হাসপাতাল রোড, বটতলা মোড়, নাজিরা পুল এলাকা সহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে ও যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি চলাকালীন রাস্তায় গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও আজ প্রথম কর্মদিবসেই বরিশালের প্রধান প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি সীমিত থাকায় অফিসগামী মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সে সময় যানজটের দেখা না মিললেও বেলা বাড়তেই শুরু হয় যানজট।

 

দেখা গেছে, কর্মব্যস্ত মনুষ সকাল থেকেই এসে ভিড় করতে শুরু করেন প্রধান সড়কগুলোতে। কেউ কেউ অটো সিএনজি মাহেন্দ্রার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছেন কেউবা আবার সুযোগ পেলে উঠে পড়ছেন। সব যানবাহনেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল বেশ ভালোই। এছাড়া ট্রাফিকের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের চিত্রও দেখা গেছে ২/৪ সড়কে।

 

এদিকে অফিস-আদালত শুরু হওয়ায় দীর্ঘ ছুটি শেষে যানবাহনে যাত্রীর পূর্ণতায় খুশিভাব প্রকাশ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মাহিন্দ্রা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এতদিন ছুটির পর আজ অফিস শুরু হয়েছে। আমরাও যাত্রী মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি। এই ছুটির মধ্যে তেমন কোন যাত্রী পাইনি। মাহিন্দ্রার পুরা সিটও ভরে নাই । খালি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে। আর এখন দেখেন জায়গা দিতে পারছি না।

অটো চালক সজিব হাওলাদার বলেন, ছুটির দিনে রাস্তায় কোথাও যাত্রী ছিল না। গাড়ি নিয়ে ঘুরেছি যাত্রী পাইনি। আর আজ অটো ফুল হয়ে গেছে। যাত্রী নেওয়ার জায়গা নেই।

এদিকে সকালের শুরুতে সড়কে গাড়ির উপস্থিত কম থাকায় যাত্রী ফারজানা বলেন, এতদিন ছুটি কাটিয়ে আজ প্রথম অফিস। রাস্তায় যানবাহন খুব কম। অটোরিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। সব অটোরিকশাই যাত্রী রয়েছে।

দুই-একটা যা গাড়ি আসছে সেগুলোর গেটে ঝুলেও যাওয়ার অবস্থা নেই। এখন রিকশা নিয়ে চলে যেতে হবে, কিছু করার নেই। প্রথম অফিস দেরি করা যাবে না।

অন্য এক যাত্রী মো. জহির আহম্মেদ বলেন, অন্তত ২০ মিনিট রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কোনো পায় চালিত রিকশা পাচ্ছি না। যেগুলো আসছে সেগুলোতে ওঠার কোনো সুযোগ নেই। কারন সদর রোডে এদের ঢুকার অনুমতি নেই। যার ফলে রিকসা না পেয়ে হাটতে শুরু করছি।

রিকশা চালকে বেল্লাল হোসেন বলেন, ঈদের পরে আজ অফিস খোলা রাস্তায় ভিড় যাত্রীও ভালো পাচ্ছি। প্রতিদিন রাস্তা মানুষ থাকলে ভালো হয়।

এদিকে আরিফ হোসেন নামে আর এক যাত্রী বলেন, নগরীর সদর রোডে অটোরিকশা, আর হলুদ অটো ঢুকতে পারে না। আমার এলাকায় কোন প্যাডেল রিকশা নেই। অর্ধেক রাস্তা আসার পরে যানবাহন পরিবর্তন করতে হয়।এতে করে ভোগান্তিতে পরতে হয় আমাদের।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED