Loading Now

জলাতঙ্কে ‍মৃত্যু কমলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আক্রান্তের হার

অনলাইন ডেক্স ।।

বহুল পরিচিত একটি রোগের নাম জলাতঙ্ক। রোগটি হলেই মৃত্যু নিশ্চিত, এই রোগের নেই কোনো চিকিৎসা। দেশে এই রোগে মৃত্যু কমলেও কমেনি আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

জলাতঙ্কের ব্যাপারে সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যখন কাউকে কুকুর কামড়ায় তাকে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। শরীরের হাত বা পায়ে কামড়ালে সে ক্ষেত্রে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন দিলে এর কার্যকারিতা শতভাগ থাকে। তবে মাথায় কামড়ালে অনেক সময় ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ৯৫ শতাংশ রোগী জলাতঙ্কে আক্রান্ত হন কুকুরের কামড় থেকে। তবে কুকুরের পাশাপাশি শিয়াল, বিড়াল, বাদুড়, বেজি, বানর ইত্যাদি প্রাণীর কামড়েও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তথ্য বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই হাসপাতালে বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর কামড়-আঁচড় খাওয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত ৩৮ জনের ৩৪ জন কুকুর এবং ৪ জন বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এই হাসপাতালে বেশি চিকিৎসা নিতে আসছেন কুকুর-বিড়ালের কামড়-আঁচড় খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগী আসেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের তথ্যমতে, বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৪০-৫০ জন রোগীর মৃত্যু হয় জলাতঙ্কে। শুধু মানুষই নয়, প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশুও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়। গত দশ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ১০৬ জন মানুষ জলাতঙ্কে মারা যান বলে জানায় সিডিসি।

মানুষ কুকুর-বিড়ালের কামড়ের শিকার হচ্ছে মূলত দুইভাবে। রাস্তা-ঘাটে বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালের মাধ্যমে এবং ঘরে পোষা প্রাণীর মাধ্যমে। তবে বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি।

সিডিসি জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালে সারাদেশে জলাতঙ্কের টিকা নেন ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ জন। একই সঙ্গে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৭টি কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হয়। আর একই বছর জলাতঙ্কে মারা যান ৫৭ জন। ২০১৯ সালে টিকা নেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৮৬১ জন। একই সঙ্গে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৯টি কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হয়। একই বছর জলাতঙ্কে মারা যান ৫৭ জন। ২০২০ সালে টিকা নেন এক লাখ ৫২ হাজার ১৪ জন। একই সঙ্গে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৪০৮টি কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হয়। একই বছর জলাতঙ্কে মারা যান ২৬ জন।

২০২১ সালে টিকা নেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ জন। একই সঙ্গে চার লাখ ১৩ হাজার ৮২৭টি কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হয়। জলাতঙ্কে মারা যান ৪০ জন। সবশেষ ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত টিকা নেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন। একই সঙ্গে এক লাখের বেশি কুকুরকে টিকার আওতায় আনা হয়। মারা যান ২৪ জন। গত ১০ বছরে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৮২১ জন মানুষকে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকার আওতায় আনা হয়েছে ২৪ লাখ কুকুর।

মৃত্যু অনিবার্য কেন?
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, ‘জলাতঙ্ক খুবই মারাত্মক রোগ। জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে মৃত্যু অনিবার্য। এ কারণে এ রোগে শতভাগ মৃত্যু বলা হয়। জলাতঙ্কের ভাইরাস মানুষের মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। মস্তিষ্কের এরকম কিছু অংশ আক্রান্ত হয়, যার মাধ্যমে আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চলে। এর ফলে রোগীর শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। পানি খেতে পারে না। তার খিচুনি হয়। কোনো কোনো ভাইরাস রোগের ওষুধ রয়েছে। যেমন- এইচআইভির, আবার করোনার সময় আমরা কোনো এন্টিভাইরাস ওষুধ পাইনি। যে ভাইরাস রোগের কোনো এন্টিভাইরাস নেই, আমরা তার কোনো চিকিৎসা করতে পারি না। ফলে রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত। জলাতঙ্ক তাদের একটি।’

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জলাতঙ্কে মৃত্যু নিশ্চিত। তবু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুটা যেন অনেক কষ্টের না হয় সে চেষ্টা করা হয়। যেমন, এসব রোগী পানি খেতে পারে না। পানি দেখে ভয় পায়। আমরা তাদের আইভি ফ্লুইড দিই। বাতাসের কারণে খিচুনি বেড়ে যায়, ফলে তাকে ফ্যান ছাড়া রাখি। শব্দ পেলে এসব রোগী ভয় পায়, তাই কোনো শব্দ যেন না হয় এমন ঘরে রাখা হয়। আমরা আসলে তার মৃত্যুর জন্যই অপেক্ষা করি। কিন্তু সেটা যেন তুলনামূলক সহজ হয় সেই চেষ্টা করি।’

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সারা পৃথিবীতে পরীক্ষামূলকভাবে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় আমরা তাই রোগীদের দিয়ে থাকি। একটা সময় জলাতঙ্ক রোগীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। যেহেতু তাদের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে তারা খুবই কষ্ট করে অমানবিকভাবে মারা যেত। আমরা এমনটা চাই না। আমরা তাদের ভর্তি রাখি। আমরা মানবিক দিকটা বিবেচনা করি, তারা যেন অন্তত সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্টটা পায়। মৃত্যুটা যেন সহজ হয়। যেমন, আমরা তাদের নিশব্দ ও অন্ধকার কক্ষে রাখি। যেহেতু আলো-বাতাসে তাদের কষ্ট বেড়ে যায়।

কুকুর নিধন নয়, গণহারে টিকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯৬ শতাংশ জলাতঙ্ক সংক্রমণের জন্য কুকুর দায়ী। কুকুর নিধন নয়, তাদের গণহারে টিকা প্রদান, অভিভাবকত্ব প্রসারণ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণের প্রধান সমাধান।

গবেষণায় দেখা গেছে, জলাতঙ্ক আক্রান্তদের ৭০ ভাগই পুরুষ। আবার আক্রান্তদের ৪৭ ভাগ শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের কম। আক্রান্তদের ৮২ ভাগই গ্রামে থাকেন এবং ৯০ ভাগ কুকুরের কামড়ে সংক্রমিত। বিড়াল, শেয়াল ও বেজি দ্বারা সংক্রমিত জলাতঙ্কের হার যথাক্রমে ৬ শতাংশ, ৩ শতাংশ ও ও ১ শতাংশ। প্রাণীর কামড়ে আক্রান্তের হার ৯৫ শতাংশ এবং আঁচড়ে ৫ শতাংশ।

প্রতি বছর আনুমানিক চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষকে কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানর, বেজির মতো জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে এমন প্রাণী কামড় দেয়। একটা সময় বাংলাদেশে দুই হাজারের অধিক রোগী জলাতঙ্কে মারা যেত। ২০১১ সাল থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে দুটি মূল বিষয় রয়েছে। প্রথমত, ব্যাপকভাবে কুকুরকে টিকাদান এবং যাদের সম্ভাব্য বাহক কামড় দেবে তাদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া। এটি কার্যকর করায় এখন মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিকে আরও নির্মূল করা সম্ভব তিন রাউন্ড গণটিকা (কুকুরসহ সম্ভাব্য বাহক) কার্যক্রম শুরু করলে। এর মধ্যে এক রাউন্ড টিকা সারাদেশে দেওয়া হয়েছে। দুই রাউন্ড টিকা ৪০ থেকে ৫০টি জেলায় এবং তিন রাউন্ড ছয় থেকে সাতটি জেলায় দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ এবং টানা কয়েক বছর করা গেলে সারাদেশ থেকেই জলাতঙ্ক নির্মূল করা সম্ভব হবে।

 

বাংলাদেশে একসময় জলাতঙ্ক ছিল গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, জলাতঙ্ক রোগে মানুষের মৃত্যুসংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৮৩; ২০২১ সালে ৪০ এবং ২০২৪-এ ছিল ৫৬। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে ২০২০ সালে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত ও মৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল চার হাজার ১৪৩টি, যা ২০২৪ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩০-এ। অর্থাৎ গত ৫ বছরে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত গবাদি প্রাণীর সংখ্যা কমেছে তিন হাজার ১৩টি।

২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো ৮৩টি কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত প্রাণীর নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩টি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। ২০২৪ সালে ২০টির মধ্যে পাঁচটি এবং চলতি ২০২৫ সালে ২৫টি নমুনা পরীক্ষায় তিনটি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এই সাফল্য এসেছে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, গণটিকাদান কর্মসূচি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার কারণে। বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি চালু করে।

২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণীর কামড়ের কারণে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশের প্রায় ১৬ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ বছর শুধু বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসকে কেন্দ্র করে আরও ৭০ হাজার পোষা প্রাণীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

দেশে যেভাবে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচি শুরু
প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার মানুষ ও গবাদিপশু জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। জলাতঙ্ক রোগ সংক্রমণে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয়। ২০১০ সাল থেকে সরকার জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে। স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ২০১১-১২ সাল থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এছাড়া জলাতঙ্ক রোগ মুক্তির জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হয়, যা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিডিসি রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা কাজ করছে।

চিকিৎসকরা জানান, জলাতঙ্ক রোগ শুধু কুকুর কামড়ালেই হয় না। বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পানিভীতি, আলোভীতি, বায়ুভীতি হলেও এর শেষ পরিণতি মৃত্যু। তবে এই রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। যদি কোনো প্রাণী, বিশেষ করে কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি বা শিয়াল কামড় বা আঁচড় দেয়, সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ১৫ মিনিট ধুতে হবে। পরে সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, কুকুর দেখলেই তাদের দূর দূর করে তাড়াতেই আমরা পারদর্শী। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে প্রাণীদের প্রতি মমতা দেখাতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, জলাতঙ্কের আগেও অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। জলাতঙ্ক হচ্ছে শেষ ধাপ। তাই শুরু থেকেই চিকিৎসা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা কুকুর, বিড়ালের আঁচড়কে গুরুত্ব দিতে চাই না, কেবল কামড় দিলে অথবা আঁচড়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে চিকিৎসার কথা চিন্তা করি। এসব অবস্থা থেকে বের হয়ে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। জলাতঙ্ক নিয়ে কোনো আতঙ্ক নয় বরং সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘আমরা জলাতঙ্ক নির্মূল করতে কুকুরকে টিকা দিচ্ছি। এ পর্যন্ত ২৯ লাখ কুকুরকে টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর ২০ হাজার কুকুরকে টিকা দেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আল মামুন বলেন, ‘কুকুর আর বিড়ালের ভ্যাকসিন ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ১০ হাজার কুকুর-বিড়ালকে ফ্রি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ বছর আমরা ১৫ হাজারের টার্গেট নির্ধারণ করেছি।’

এই চিকিৎসক বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে দেশে ১৫ থেকে ১৮ লাখ কুকুর রয়েছে। কুকুর-বিড়ালকে প্রতি বছর একবার জলাতঙ্কের টিকা দিতে হবে। আর কারও আঁচড় বা কামড় লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ১০-১৫ মিনিট ধরে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেবে।’

তথ্য সূত্র : ঢাকা মেইল,,,,

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED