জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া
অনলাইন ডেক্স ।।
প্রায় সাড়ে সাত বছর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তিনি রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে যান। স্বামীর সমাধির পাশে গাড়িতে বসে কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত করবেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। এর আগে রাত ১০ টার পরে নীল রঙের একটি প্রাইভেট কারে করে বিএনপি চেয়ারপারসন ফিরোজা থেকে বের হন। গাড়িতে দলীয় পতাকা ছিল।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার দুই ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার ও শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
জিয়াউর রহমানের মাজারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মোনাজাতে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা।
খালেদা জিয়ার আসার খবরে নেতাকর্মীরা রাতে চন্দ্রিমা উদ্যানে ভিড় করেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, মাজার জিয়ারতের ঘটনাটি আচমকাই ঘটেছে। তার স্বামীর সমাধি জিয়ারত করছেন—অস্বাভাবিক কিছু না। কেউ কেউ ধারণা করছেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকেই হঠাৎ মাজার জিয়ারত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই বেগম খালেদা জিয়া তার স্বামীর সমাধি জিয়ারতের কথা বলেন। তখন সবাই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনায় চন্দ্রিমা উদ্যানে আসার উদ্যোগ নেন। তিনি মনে করেন, বেগম খালেদা জিয়ার এই জিয়ারতের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডার রাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন উনার স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। তখন একরকম দ্রুত তার ব্যবস্থা করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে সর্বশেষ খালেদা জিয়া তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার কারণে তিনি মুক্ত হওয়ার পর আর মাজারে যাননি।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি তাকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ চার মাস পর গত ৬ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফেরেন।
Post Comment