Loading Now

জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয় কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ব্র্যাকের আয়োজনে বরিশাল জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ঊট) অর্থায়নে
পরিচালিত চার বছরব্যাপী রোড সেফটি প্রোগ্রামের শিখা প্রকল্পের আওতাধীন বরিশাল জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির
কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি এবং জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর সহযোগিতায় অতিথি হিসেবে ছিলেন এডিএম সুফল চন্দ্র গোলদার , জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলাউল হাসান, গৌরনদী হাইওয়ে থানার মো: আমিনুর রহমান , জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ সহিদুল হাসান মামনু, জেল ট্রাক মালিক গ্রুপ ; আলদুল্লাহ আল মামুন সহাকারী,

মাহফজ হোসেন, ইন্সপেক্টর বিআরটিএ: মো: মনোয়ার হোসেন বাস মালিক গ্রুপ, মো: হারুনার রশিদ , জেলা শিক্ষা অফিসার, সাইফুল ইসলাম, পরিচালক, চেম্বার অফ কমার্স, মো: নুরুল ইসরাম, ট্রের্ং স্পেশালিষ্ট, ব্যাক জেলা কোডিনেটর রিসান রেজা মো: সায়েদ, ব্যাকের ট্রেনিং স্পেশালিস্ট মো: নুরুল হক, প্রোজেক্ট লিডার নাজমুল হক,ব্র্যাক মো: নজরুল ইসলাম ফিল্ড কমিউনিকেটর ব্র্যাক, মো: তৌহিদুর রহমান সহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেনির নেতৃবৃন্দ। কর্মশালায় গণপরিবহন ও গণসমাগমস্থানে জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানি কমানোর লক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা করা হয়। এসময় বলা হয় যাত্রাপথে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ নিত্যদিনের। বছরের পর বছর চলে আসছে এই সংস্কৃতি। বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীরা বাস ও বিভিন্ন গণপরিবহনে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক হয়রানির সম্মুখীন হন, যার মধ্যে শ্লীলতাহানি, অশালীন মন্তব্য এবং শারীরিক আক্রমণ অন্যতম। এই সমস্যা শুধু নারী সুরক্ষা নয়, সমগ্র সমাজের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবহনব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষার অভাব। পরিবহন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো ও মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থান যথাযথভাবে নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নারী হয়রানির অন্যতম কারণ। বাস সহ অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াতের সময় সীমিত আসনের তুলনায় অধিক যাত্রী বহন এবং দাঁড়িয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা না থাকায় নারীদের নিরাপত্তা সংকটকে বাড়িয়ে তোলে।গণপরিবহনে নারীদের জন্য আলাদা আসন থাকলেও সেখানে নারীরা বসতে পারেনা।

এছাড়া কর্মপরিকল্পনা সভায় বলা হয় বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক উদাহরণ কাজে লাগিয়ে গতি নিয়ন্ত্রণে সড়ক, মহাসড়ক ও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী গতিসীমা নির্ধারণ করে একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। এর কার্যকর বাস্তবায়ন গতি কমাবে, জীবন বাঁচাবে। এমনকি পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথচারীবান্ধব সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, যানবাহনের গতিসীমা বাস্তবায়ন ও হেলমেট ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়।

বক্তৃতারা আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতে মৃত্যুর অষ্টম প্রদান কারণ, বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ মিলিয়ন আহত হয়, দৈনিক প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়,
১৫/২৯ বছর বয়সী মানুষ বেশি মৃত্যু বরন করছে। এছাড়াও কর্মশালায় রোড সেফটি প্রোগামের আওতাধীন বাস ড্রাইভার ও হেলপার এবং থ্রি-হুইলার ড্রাইভার প্রশিক্ষণ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ নিয়ে সভা বা কর্মশালা, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, স্টিকার লাগানো, কমিউনিটি পুলিশ ও ভলেন্টিয়ার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রমগুলো উপস্থাপন করা হয় এবং জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে গণপরিবহন ও গণসমাগমস্থানে যৌন হয়রানি মুক্ত ও নারীবান্ধব উন্নত গণপরিবহন
ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করা হয় এবং কর্মপরিকল্পনায় যে যে দপ্তরের যা যা কাজ সেগুলো বাস্তবায়ন
করার অঙ্গিকার প্রদান করেন।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED