Loading Now

টিএসপি সারের বরাদ্দপত্রের সত্যতা যাচাইয়ে নোটিশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

টিএসপি সারের বরাদ্দপত্রের সত্যতা যাচাই করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন যুগ্মপরিচালক সারের কার্যালয় বরিশাল অঞ্চলের সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ সাঈদ হোসেন খোকন বরাবর লিখিতি নোটিশ দিয়েছেন মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার এস আই মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) পাঠানো
নোটিশে উল্লেখ করা হয় মাদারীপুর জেলার ডাসার থানাধীন আটিপাড়া সাকিনস্থ ভাঙ্গাব্রিজ স্টান্ড সংলগ্ন বরিশাল টু ঢাকা মহাসড়ক এর উত্তর পাশে মহিউদ্দিন মড়ল এর চায়ের দোকানের পাশে পাকা রাস্তার উপর হইতে ৪২০ বস্তা চালান বিহিন টিএসপি সার ভর্তি একটি ট্রাক যাহার নং- ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-৫০২৩ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সার মালিকানা দাবি করেন গৌরনদী থানার দোনারকান্দি এলাকার বাসিন্দা মেসার্স বিপ্রদাস বীজ ভান্ডার (বিএডিসি) বরিশাল সত্বাধীকারি কুলধর মল্লিক সারের মালিকানা দাবী করে আদালতে আবেদন করেন।আবেদনের উল্লেখ করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নগদ সার বিক্রয় ম্যামো যাহার ম্যামো নং- ৩০৯৩৭ বহি নং- ৩১০, তারিখ ২ ডিসেম্বর এবং গুদামের নাম ৪-২।

জব্দকৃত সার মেসার্স বিপ্রদাস বীজ ভান্ডার (বিএডিসি) এর সত্বাধীকারি কুলধর মল্লিকের
ট্রাকে দাবীকৃত সার তার নিজের কিনা তা জানতে এই নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের সাথে যে নগদ সার বিক্রয়ের মেমো প্রদান করা হয়েছে তা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কার্যালয় দেয়া মেমোর সাথে কোন মিল নেই। এসময় সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ সাঈদ হোসেন খোকন বলেন, আমরা মিলিয়ে দেখেছি যে মেমো ও চালান দেখানো হয়েছে তা এক নয়। এটা সম্পূর্ণ আলাদা। এক কথায় এটা নকল বানানো একটা ডুবলিকেট মেমো। এটা সরকারি মেমো না। আমরা আমাদের উদ্বোধন ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নোটিশে জবাব দেব এবং আইনি ব্যবস্থা নেব। যাতে করে কোন ডিলার এরকম আর কাজ করতে না পারে তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনিয়ে সোমবার বরিশাল অঞ্চলের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন যুগ্মপরিচালক সারের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ডিলারা তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। উত্তেজিত ডিলাররা বলেন বেশ কয়েকজন সার বিক্রর ডিলার রয়েছেন যারা অসত উপায় অবলম্বন করে সার মজুত করে বাহিরে কৃষকদের কাছে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে। এখান কার সার কালো বাজারে বিক্রি করা হয়। তারা আরও বলেন এখন কৃষি মৌসুম চলছে আমরা সারের জন্য আবেদন করেছি কিছু নির্দিষ্ট সময় সার পাচ্ছি না। কৃষকদের কাছে বিক্রি করতে না পরলে ব্যবসায়ী ও কৃষক উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকদের এখন সারের প্রয়োজন এটা তারা বুঝেনা।

নাম প্রকাশ না করা সত্বে একাধিক ডিলাররা জানান, আমরা সারোর জন্য আবেদন করে ঘুরছি। সার পারছি না। দূরদূরান্ত থেকে টাকা খরচ করে এখানে সার নিতে এসেছি। কৃষি মৌসুম শেষ হয়ে গেলে সার দিয়ে কি কর জানিনা। সার নিতে আসলে শুনতে হয় নেই।ব্যবসায়ী পরিবারের যৌথ সিন্ডিকেটের কাছে পুরো কৃষিই জিম্মি হয়ে পড়েছে। বরিশালে আনন্দ ব্রিজ ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা অসৎ উপায়ে অবলম্বন করে সার মজুদ করে কৃষকদের কাছে নির্মমানের সার অধিক মূল্যে বিক্রি করে। আনন্দ বীজ ভান্ডার জিম্মি করে রেখেছে খুচরা বিক্রেতাদের। এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কৃষিতে সারের প্রয়োজন, সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিবাদ করলে সার নেই, ডিলারদের এমন সাফ জবাবে রীতিমত চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদের ভরা মৌসুমে সঠিক সময়ে জমিতে সার প্রয়োগ যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের জন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার ডিলারদের অনেকেই জানান, সারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করায় বাধ্যতামূলক সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে সার বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় চিকন দানার ইউরিয়ার চাহিদা বেশি থাকলেও মূলত তাদেরকে ইচ্ছানুযায়ী মোটা দানার ইউরিয়া সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে দাম বেশি দিলে জোটে চিকন দানার ইউরিয়া। তারা আরও বলেন, এসব আসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নিতে হবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED