Loading Now

ডিমের দামে মুরগি, অস্বস্তি মাছের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কমেছে সবজি ও মুরগির দাম। তবে ডিমের দাম আবারও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। আর এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ডিমের পাশাপাশি মসলা জাত পণ্য, শশা, টমেটো ও পেঁপের দামও কিছুটা বেড়েছে। এদিকে মাছের বাজারে চরম উত্তাপ বিরাজ করছে—সরবরাহ কমে ও চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, যা ক্রেতাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে বরিশালের বাজার রোড, পোটরোড বাজার, নতুন বাজার, বাংলা বাজার, সাগরদি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এই তালিকায়। এছাড়া বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা সালাম বলেন, বাজারে গ্রীষ্মের সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে, যে কারণে দাম অনেকটা কম। অনেক এলাকায় বন্যার শঙ্কার কারণে অনেকে ক্ষেতের সবজি তুলে ফেলছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা করে কমেছে।

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। কিছু বাজারে দাম ১৭০ টাকা হাঁকলেও দরদাম করলে ওই দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কম। একইভাবে কমে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বিক্রেতা আলামিন বলেন, বাজারে এতো সস্তা দামে মুরগি দীর্ঘদিন পরেই বিক্রি হচ্ছে। এখন মুরগি বিক্রি করে খামারিদের প্রচুর লোকসান হচ্ছে। দাম ২০০ টাকা কেজির কাছাকাছি থাকা ভালো।

মুরগির দাম কম থাকলেও ডিমের দাম মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০/১৩৫ টাকায়। যা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে
১৪৫-১৫০ টাকায়।

বটতলা ও পুরান বাজারের একাধিক পাইকারি ডিম বিক্রেতারা বলেন, বর্ষার এই সিজনে অন্য বছরগুলোতে ডিমের দাম আরও বেশি থাকে। সে হিসেবে এ বছর দীর্ঘদিন ধরে ডিমের দাম কম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন দরে। পাড়া-মহল্লায় এক ডজন ডিম ১৪৫/১৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। চাল বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, নতুন চালের দাম প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। এখন প্রতি বস্তা মিনিকেটের দাম ২০০০ টাকার মধ্যে এসেছে, যা আগে ২২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

তিনি বলেন, বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দামই কমেছে। তবে পুরোনো কোনো চালের দাম এখনো কমেনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের পুরনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল চিনি ডালের দামে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে মাছের বাজারে চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম।

বাজারে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।

এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-৩৪০ টাকা ও পাঙাশ ২৫০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED