ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ
অনলাইন ডেক্স ।।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে জেলার রাজৈর উপজেলার কামালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এর আগে, মহাসড়কের গোপালপুর ও মেলকাইসহ প্রায় ৮টি স্থানে ১২টি মোটা গাছ ফেলে অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আমগ্রাম ব্রিজ ও কামালদি ব্রিজের মাঝামাঝি একটি স্থানে গাছ কেটে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রী ও চালকদের।
পরে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। রাজৈর থানা ও মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গাছ সরিয়ে সকাল ৭টার দিকে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকেরহাট পোর্ট স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টার দিকে সড়কের ওপর থেকে গাছটি সরাতে সক্ষম হই। গাছটি মহাসড়কের পাশ থেকে কেটে সড়কের ওপরে ফেলা হয়েছে।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বলেন, ভোরের দিকে মহাসড়কে গাছ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন বাস্তবায়নে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গাব্রিজ থেকে ভূরঘাটার মাঝামাঝি ৮টি স্থানে ১২টি গাছ ফেলে অবরোধ করা হয়। এ সময় মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন তারা।
এতে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কালকিনি থানা, ডাসার থানা ও মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।



Post Comment