ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দুই সপ্তাহ ধরে মৃত্যু আতঙ্ক
উজিরপুর প্রতিনিধি ।।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বালুর বস্তা দিয়ে কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখা একটি ভাঙা সেতু দিয়ে প্রতিদিন চরম দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যাত্রীবাহী বাসসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
দুই সপ্তাহ আগে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বাজার এলাকার ৬৪ বছরের পুরোনো এই সেতুর তিনটি গার্ডারের দুটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। এরপরও দূরপাল্লার যানবাহনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে যেকোনো সময় সেতু ভেঙে প্রাণহানি ঘটাসহ সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
দুই সপ্তাহ আগে সেতুর ভাঙা গার্ডার দৃশ্যমান হয়। এরপর থেকে সেতুটি ধসে পড়া ঠেকাতে সড়ক বিভাগ বালুর বস্তা দিয়ে রেখেছে। ভাঙা সেতুর পাশে বিকল্প সড়ক ও সেতু নির্মাণে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি—বড় দুর্ঘটনার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হোক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন হাজারো যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। অস্থায়ী বালুর বস্তার সাহায্যে টিকিয়ে রাখা এই সেতুতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। তবে সেতুটি যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য দুই প্রান্তে গতিরোধক স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। পাশাপাশি সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়লে রাজধানী ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বৃদ্ধ অমল পাল বলেন, ‘৬৪ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে সেতুটির গার্ডার ভেঙেছে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। বস্তা দিয়ে কোনোমতে টিকিয়ে রাখলেও যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সংকটের সমাধান চাই।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সেতুটি যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা জানি, এটি টেকসই সমাধান নয়। সেতুটি নির্মাণে প্রকল্প পাঠানো হবে এবং অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। বর্তমানে যাতায়াত নিরাপদ করতে আমরা বিকল্প সড়ক ও সেতু নির্মাণ করব। টেন্ডার আহ্বানসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঠেকাতে সেতুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
তথ্য সূত্র : ঢাকা মেইল,,,,,,



Post Comment