তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঠেকাতে হাদী হত্যাকাণ্ড: রহমাতুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জুলাই বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে ভয় দেখানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি সফল করতে শনিবার বরিশাল সদর রোডস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় রহমাতুল্লাহ বলেন, হাদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশি-বিদেশি একাধিক চক্র দীর্ঘদিন ধরে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান আজ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশার আলো। আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দেশপ্রেমিক ও সাহসী নেতৃত্বের সংকট রয়েছে। জনগণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বই আবার নির্বাচিত করতে চায়।
আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমানের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।
রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে জনগণের সামনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মুলত ষড়যন্ত্রকারীরা বিপাকে পড়ে। এই অবস্থায় হাদীর মতো একজন বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিককে হত্যা করে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
সভায় রহমাতুল্লাহ দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সব ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা নস্যাৎ করে কোটি জনতা আগামী ২৫ তারিখ তারেক রহমানকে বরণ করে নেবে। সেই বরণই হবে বিজয়ের প্রথম ধাপ।
এদিকে সভায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।



Post Comment