Loading Now

চৈত্রের কাঠ ফাটা রোদে অতিষ্ঠ বরিশালের জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চৈত্রের খরতাপে ভোগান্তি এনেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে একটানা তাপপ্রবাহে যারপরনাই নাকাল হয়ে পড়েছে দক্ষিণের জনপদ বরিশালের মানুষ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে।

বাইরে আগুনে পোড়া গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। তীব্র গরমে জনজীবনে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। বাতাসে আর্দ্রতার হার অর্থাৎ জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় তাপদাহের সাথে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ায় নাকাল অবস্থা। গাছের ছায়া কিংবা যেখানে সেখানে ছায়া মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছে, স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত বা ডাব খাচ্ছে।

সব মিলিয়ে গরমে প্রভাব ফেলছে জীবনযাত্রায় এই তাপপ্রবাহ।
যাদের দিন আয়ে দিন চালতে হয় তাদের কাজ না করতে পেরে বেগ পেতে হচ্ছে বেশ। তারা বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজে নামতে পারছে না, কাজ পেলেও আগের মতো করতে পারে না বলে মজুরিও কম পাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধদের কাছে গরম এখন অসহনীয় অবস্থায়। আবার ঘরের ভেতরেও শান্তি নেই, গরমের কারণে সবাই ঘামছে, পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন।

এদিকে চলতি বছরের গত ৫ এপ্রিল বরিশালে ছিলো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.০ ডিগ্রি। তবে ৯ এপ্রিল বুধবার ৩৪.৭ ডিগ্রিতে আসলে কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বরূপে ফিরেবে কাঠফাটা রোদের চৈত্র! তাপদাহের সাথে সর্বত্র ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনদুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে পড়ছে বরিশালবাসী।

প্রতিবারের মত এবারও চৈত্রের তাপপ্রবাহের সাথে পাল্লা দিয়েছে গ্রাম-জনপদে ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনদুর্ভোগের যেন শেষ নেই গোটা জেলাজুরে। আর এই চৈত্রের কাঠফাটা রোদ তাপপ্রবাহের সঙ্গে বরিশালে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। তবে এবার ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রকোপ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন হাসপাতাল গুলো।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED