Loading Now

দেশের ডাক ফেলতে পারিনি:নওশাবা

 

বিনোদন প্রতিবেদক

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ,গতকাল বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদ্য গঠিত বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে তাকে। এই অন্তর্ভুক্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন বেশির ভাগ মানুষই।
কারণ তিনি বিগত সরকারের আমলে তুমুল নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। খেটেছেন জেল। সয়েছেন নির্যাতন। হারিয়েছেন কাজ। এমনকি ঠকেছেন শিল্পমাধ্যম থেকেও। শিল্পীদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ পাওয়া ও নিজের কাজ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
নওশাবা বলেন আমার বাবা বলতেন, ‘তুমি যেমন মানুষ তেমনই সম্মানটাও পাবে।’ এটা মনে হয় আমার বাবা-মায়ের দোয়াই।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন,সবচেয়ে বড় কথা হলো-এই দুইটা বিষয় যে বড় সেটা মাথায় ঢুকাতে চাচ্ছি না, শুধু দায়িত্বটা মাথায় ঢুকাতে চাচ্ছি। এছাড়া আমি আগে থেকেই এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম। এখন সবার পরামর্শ নিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে কাজ করে যেতে চাই। যাতে সবার কল্যাণ হয়। আর যারা আমার সঙ্গে রয়েছেন তারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন। এই সময়টা যত বেশি আমরা একসঙ্গে হয়ে কাজ করব ততটা সফলতা পাব।
এটা সত্য যে আমি অনেকদিন দূরে ছিলাম। এইসব জায়গায় আসারও ইচ্ছা ছিল না। আমি অনেক ছোট মানুষ। দেশ ডেকেছে, মানা করতে পারিনি। যখনই দেশ ডাকে তখনই মনের কথা শুনি। মনও সায় দিয়েছে। এখন দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে চাই। এখন বসে থাকার সময় নয়। সংস্কৃতি আসলে সাধারণ মানুষের জন্য। এটা একক কোনো মানুষের জন্য নয়। এছাড়া আশপাশের সবাই আমাকে সায় দিয়েছে, তাই দূরে থাকতে পারলাম না।
অভিনয়ের কারণেই আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। ওই জায়গা থেকে আমি কখনোই সরে যেতে পারব না। আমি আগে থেকেই সংখ্যার চেয়ে মানের দিকে বেশি নজর দিয়েছি। চেষ্টা করব দায়িত্ব ও অভিনয় দুটো ভারসাম্য রেখে করার।
শিক্ষার্থীরা কিন্তু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তারা আমাদের রাস্তায় লাইন ধরে চলতে শিখিয়েছে। ক্ষমতার দাম্ভিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে শিখিয়েছে। ‘আপনি জানেন আমি কে?’-এইটা যেন আমাদের মধ্যে আর কাজ না করে। আমি কে, এটা বলা যাবে না। আমরা হতে হবে। অন্যকে কিছু বলার আগে নিজের দিকে আঙুল তুলতে হবে। নিজেরা ঠিক থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED