Loading Now

নদী সাঁতরে বরিশাল পৌঁছল ‘ভোলা টু সেতু ভবন’ লংমার্চ, অসুস্থ ১

ভোলা প্রতিনিধি ।।

পাঁচ দফা দাবিতে ভোলা থেকে রাজধানীর সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সাঁতরে নদী পাড়ি দিয়ে বরিশালে পৌঁছেছেন।

এ সময় টানা সাঁতার কেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী।

ভোলা থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার তেতুলিয়া নদী সাঁতরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৭ শিক্ষার্থী বরিশালের শ্রীপুর পৌঁছেছেন।

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হল- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান অগ্রগতি, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিক্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

এসব দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে পায়ে হেঁটে ২২ জন শিক্ষার্থী লংমার্চটি শুরু করেন।

তারা ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওপর দিয়ে তিন দিন পায়ে হেঁটে বৃহস্পতিবার রাতে ভোলা সদরে পৌঁছান।

এরপর সেখান থেকে ফের শুরু হয় ঢাকামুখী লংমার্চ। সেজন্য শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাশ থেকে তেতুলিয়া নদীতে সাঁতার শুরু করেন ১৭ শিক্ষার্থী। বাকি পাঁচজন ভিন্ন উপায়ে রওয়ানা দেন।

প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নদীতে সাঁতার কেটে সন্ধ্যায় তারা বরিশালের চর চটকিমারা খেয়াঘাট গিয়ে ওঠেন।

লংমার্চে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলরা আমাদের কথা দিয়েছিল, আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করাসহ আমাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করবে, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না।

“তাই আমাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সেতু ভবনের অভিমুখে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া লংমার্চ চতুর্থ দিনে তেতুলিয়া নদী সাঁতরে বরিশালের শ্রীপুরে পৌঁছেছে।”

তিনি বলেন, “এ সময় দীর্ঘক্ষণ নদীতে সাঁতার কাটায় আমাদের মধ্যে একজন আন্দোলনকারী ইয়াহিয়া খান রামিম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, চিকিৎসা শেষে তিনি ফের লংমার্চে যোগ দিয়েছেন।”

মেহেদী হাসান বলেন, “যেহেতু ভোলা থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌযান, নদী পার হওয়ার সময় নৌযানে না উঠে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা নদী সাঁতরে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের লংমার্চ চলবে।”

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED