Loading Now

নার্সের হাতে প্রসূতির ডেলিভারি, অতঃপর

 

গৌরনদী প্রতিনিধি ।।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে কথিত নার্স দ্বারা নরমাল ডেলিভারী করানোর সময় নবজাতকের মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার পর রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে ভীড় করে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করলে অভিযুক্ত কথিত নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তার পালিয়ে যায়।

এ সময় বিক্ষুব্ধদের হামলায় আহত মার্কেটিং অফিসার মনির পালিয়ে আত্নগোপনে চলে যান। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।

প্রসূতীর স্বামী গৌরনদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সবুজ মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী সাবিহা বেগমের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তবে সেখানে কোন এম.বি.বি.এস চিকিৎসক না থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত ডি.এম.এফ (ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি) সঞ্জীব মজুমদার তার স্ত্রীকে ভর্তি করেন। একপর্যায়ে রাত তিনটার দিকে কথিত নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তারকে দিয়ে জোড় পূর্বক তার স্ত্রী সাবিহাকে নরমাল ডেলিভারী করার চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় আধ ঘন্টা চেষ্টার পর একটি নবাজাতক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তবে নবজাতকের কোন কান্নাকাটির শব্দ না শুনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক বরিশাল শেরইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে বলে জানান।

এ বিষয়ে সুইজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জীব মজুমদার (ডি.এম.এফ) বলেন, ভর্তির সময় পরিক্ষা নিরিক্ষায় প্রসূতী ও গর্ভের সন্তান সুস্থ ছিল দেখা যায়। তবে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য নেই বলে জানান।

সুইজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুপা খাতুনের কাছে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিব না। আপনারা যে যা লিখতে পারেন লিখেন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কেউ এখনো আমাকে জানায় নি, আপনার থেকে প্রথম শুনলাম। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED