নিয়ম ভেঙ্গে উপদেষ্টা হয়ে সিটি করপোরেশন এলাকায় লুটপাট চালায় প্রত্যুষ সেরনিয়াবাত!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চেহারা দেখলে বোঝার উপায় নেই দাড়ি ও সুন্নতি কায়দায় কতটা করোপটেড হতে পারে মানুষ। তবে একজনের উদাহরন দিয়ে আজ পাঠকদের জানানো হবে মুখ ভর্তি দাড়ি ও সুন্নতি কায়দায় চলাফেরা করে কিভাবে লুটপাট করা যায় তার জলন্ত উদাহরণ ছিল বরিশাল সিটি মেয়র পদচ্যুত আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের পুত্র আবিদুর রহমান প্রত্যুষ সেরনিয়াবাত। লেখাপড়া বিদেশে। কিন্তু শেখ পরিবারের কোঠায় মেয়র হওয়া পিতা খোকন সেরনিয়াবাত মসনদে বসার সাথে সাথে বরিশালে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।ক্ষমতা কাকে বলে ও কি কি তার সবটুকু বরিশালে দেখিয়েছেন স্বৈরাচার তকমা পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই বিসিসির পদচ্যুত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। বাংলাদেশের সবগুলো সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও বরিশালের মেয়র প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় বিধায় ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী। বরিশালের মেয়র খোকন চেয়ারে বসেই শুরু করেন সিটি করপোরেশনের রুলস ভাঙা।আর তার কাজে সহযোগিতা করতেন বরিশালের ৩ আইনজীবী।বিধি ভেঙে তিনি তার পুত্রকে করেন উপদেষ্টা। অবৈতনিক দেখিয়ে নিয়োগ দিয়ে পুত্রকে পুরো ক্ষমতা দেন মেয়রের চেয়ার সামলানোর। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৬ তলার উপরের যত ভবন সবগুলো ভবনের প্লান পাশে উপদেষ্টাকে দিতে হত অর্থ।করপোরেশন এ গেলে পিতার চেয়ারেই বসতেন মেয়র পুত্র।সিটি করপোরেশনের সচিব মাসুমা আক্তারের সাথে ছিল বিশেষ সখ্যতা।মেয়রের অবর্তমানে সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণ করতেন এই নারী সরকারি কর্মকর্তা। এমনকি মেয়র পরিবার ও উপদেষ্টার বিশেষ লোক পরিচয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একজন ডিসি পদমর্যাদার হলেও তার ভয়ে থাকতো তটস্থ। উপদেষ্টা প্রতুষ সেরনিয়াবাত চোখ দেন নগরীর সব পুকুরের প্রতি।বিবির পুকুরে নিজের নামে লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন মুলক কাজের জন্য পরিকল্পনা করার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে হাতিয়ে নিতেন অর্থ।বিগত আট মাসে মেয়র পুত্র হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।
অনেকটা হীরক রাজার দেশের মত বরিশালের রাজপুত্র ও রাজার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের বিষয়টি নিয়ে খুব একটা উত্সবে পরিনত করত তাদের অনুসারীরা।এই খোকন পরিবারের রামরাজত্ব সম্পর্কে আরও জানতে চোখ রাখুন দখিনের প্রতিবেদনে। জানাবো আরও নতুন কিছু। কি কারনে হাজারো লাশ পড়ে গেলেও ক্ষমতাই ছিল অধিক প্রিয় এই পরিবারগুলোর। জানতে চোখ রাখুন….
Post Comment