Loading Now

নুসরাত ফারিয়া চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

বিনোদন ডেক্স ।।

গেল রোববার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। পরের দিন আদালত থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

তবে মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী।

তবে এই সময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের উদ্দেশে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এরপর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আবারও নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি। এরপর ফারিয়ার আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২৩ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ চিত্রনায়িকা জানিয়েছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ, চিকিৎসার অংশ হিসেবেই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন।

ফারিয়া লেখেন, আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা।

যোগ করে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী লেখেন, এই পরিস্থিতিতে কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝবেন। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।

গত কয়েকদিনকে দুঃসহ সময় উল্লেখ করে ফারিয়া লেখেন, গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি- আপামর জনসাধারণ, প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।

গণমাধ্যমের বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই চিত্রতারকা লেখেন, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা। সবার প্রতি রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। চলতি বছরের ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED