Loading Now

পটুয়াখালীতে একদিনে মিলল ৫ লাশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।

পটুয়াখালীতে একদিনে পাঁচটি লাশ পেয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) জেলার কুয়াকাটা, দুমকি ও বাউফল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব লাশ পাওয়া যায়।

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নজরুল ইসলাম নামে এক জেলের লাশ পাওয়া যায় সৈকতের মিরা পয়েন্টে। তার ছেলে বাবার লাশ শনাক্ত করেন।

একই সময়ে গঙ্গামতি পয়েন্টে আরও এক অজ্ঞাত ব্যক্তির (৪০) লাশ পাওয়া যায়।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল বলেন, সৈকতের দুটি ভিন্ন স্থানে লাশ দুটি পাওয়া গেছে।

একটির পরিচয় পাওয়া গেছে। লাশ দুটি মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলার দুমকি উপজেলার চরবয়েড়া গ্রামে মুক্তা আক্তার (২৫) নামে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই মাসুম হোসেন অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার বোনকে নির্যাতন করা হতো, সেই নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শ্বশুরবাড়ির দাবি, মুক্তা স্ট্রোকে মারা গেছে।

দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

একই দিনে জেলার বাউফলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন সরোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। নিহত সালমা আক্তার (৩২) বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

সরোয়ার হোসেন স্ত্রীকে পরকীয়া সন্দেহে গলা কেটে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর চার বছরের সন্তানকে নিয়ে ভোরে বাউফল থানায় এসে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি।

বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, স্বামী সরোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহ করে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে। শিশুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

দুপুরে বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের একটি পুকুরে ডুবে মারা যায় মো. রাফসান (৭) নামের এক শিশু। পুকুরে তার লাশ ভাসছিল।

কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ হাওলাদার বলেন, রাফসান খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED