Loading Now

প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন এবং বিকল্প ব্যবহার শীর্ষক স্কুল ক্যাম্পেইন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ‘বেলা’ বরিশালের আয়োজনে ‘একবার ব্যবহার্য
প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন এবং বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক সচেতনতামূলক স্কুল ক্যাম্পেইন প্রোগ্রাম চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায়
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার খান।
সহকারি শিক্ষক ফাহমিদা আফরোজ মিতু, তানিয়া আক্তার ও মোঃ সফিউল্লাহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ মোঃ রফিকুল আলম ও ওআরডিপি’র প্রধান নির্বাহী মোঃ জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলা’র বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক লিঙ্কন বায়েন। এসময় প্লাস্টিক-পলির্থিনের দূষণ ও বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কিত ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনী শেষে বেলা’র সমন্বয়
প্রতিপাদ্য বিষয়টি অংশগ্রহনকারী
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়।

এসনয় তিনি বলেন, ব্যবহারের পর আমরা যে প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলে দেই তা মাটি ও পানিতে মিশে থাকে। দীর্ঘ সময় পরিবেশে অবস্থানের ফলে প্লাস্টিক দ্রব্যাদি মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিনত হয় এবং সরাসরি প্রাণির খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। ফলে মানবজাতি ও প্রাণিকূল নানা ধরনের প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ও ব্যবহারসহ বাংলাদেশে এর চাহিদা ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এর ফলে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের সকল ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর দীর্ঘ বছর বিরাজমান থাকে। এছাড়াও আমাদের দেশে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ২০১৯ সালে বেলাসহ ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের কথাও আলোচনায় উঠে আসে। অতিথিবৃন্দ তাঁদের আলোচনায় বলেন, গ্রীনপিসের তথ্যমতে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল পুরোপুরি ধ্বংস হতে সময় লাগে ১০০০ বছর, যেখানে প্লাস্টিক ব্যাগ ধ্বংস হতে সময় লাগে ৪৫০ বছর।

অন্যদিকে সামান্য প্লাস্টিকের স্ট্র পৃথিবীতে ৭০০ বছর বিদ্যমান থাকে। সম্প্রতি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ইতালির
বিজ্ঞানীরা মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে। তাই প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।

প্লাস্টিকের মাইক্রোকনা নিউরনের সাথে মিশে নিউরন তথা ব্রেনকে অকার্যকর করে তোলে। স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিকে দুর্বল করে দেয়।
প্লাস্টিক পলিথিনের যতেচ্ছ ব্যবহার আমাদের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন
করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানুষের সাধারন চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সবাই মিলে স্বচ্ছ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে হবে । সেই
সাথে প্লাস্টিক-পলিথিন কিভাবে মাটি, পানি ও বায়ুকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এবং এতে মানুষসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্য কিরূপ ক্ষতির সন্মুখীন
হয়ে থাকে সে দিকগুলোও বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেককে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED