বরগুনায় বাস-মাহেন্দ্র-মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত তিন
বরগুনা প্রতিনিধি ।।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে নানা-নাতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকায় রহমান ফিলিং স্টেশনের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচালা গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৫৫), বাইনবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতাহার গাজী (৬০) এবং তাঁর নাতি উপজেলার চাওড়া লোদা গ্রামের হিমু আকনের ছেলে আদিব (৭)। এ ঘটনায় পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করলেও চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। আমতলীর আমড়াগাছিয়া এলাকার রহমান ফিলিং স্টেশনের সামনে বাসটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাহিন্দ্রাটি সড়কের পাশে পড়ে যায় এবং মাহিন্দ্রার পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেল চাপা দেয় বাসটিকে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক শহীদুল ইসলাম নিহত হন।
স্থানীয় লোকজন মাহিন্দ্রার যাত্রী আতাহার গাজী, তাঁর নাতিসহ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আতাহার গাজীও মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান বলেন, ইউনিক পরিবহনের বাসটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে মাহিন্দ্রার পেছনে থাকা মোটরসাইকেলটি চাপা দেয় ওই বাস। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন এবং মাহিন্দ্রার তিনজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ বলেন, শিশুসহ দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আহত অন্য দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের–ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত আতাহারের মেয়ে সালমা বলেন, দুর্ঘটনায় তাঁর বাবা ও বোনের ছেলে নিহত হয়েছে। বাবা নাতিকে নিয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে বাসচাপা দেয়। বোনের ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবাকে বরিশাল নেওয়ার পথে লেবুখালী এলাকায় মারা যান।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
Post Comment