বরিশালে জুলাই আন্দোলনে আহতের নামে সরকারি জমি দখলের অভিযো
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জুলাই আন্দোলনে আহত একজনের নাম ব্যবহার করে বরিশালের রূপাতলীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক দিয়ে সেখানে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেটি তত্ত্বাবধান করতে দেখা গেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে।
জানা গেছে, নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে ও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের মাঝখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি ইজারা নিয়ে ২২টি স্টল নির্মাণ করেছিলেন জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ((এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক বর্তমানে কারান্তরীণ মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান। তাদের পারিবারিকভাবে পরিচালিত একটি এতিমখানা মার্কেট নামে স্টলগুলো নির্মিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২২ নভেম্বর সওজ ওই ২২টি স্টলসহ আশপাশের ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের চার মাস পরে নতুন করে স্টল নির্মাণ করতে শুরু করেছে কয়েকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উচ্ছেদের খালি জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একটিতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থার বরিশাল শাখার অস্থায়ী কার্যালয়। উচ্ছেদ স্টলের যেটিতে ভোজনবিলাস নামক রেস্তোঁরা ছিল সেখানে কাঠের স্থাপনা নির্মাণ করছেন তিনজন শ্রমিক। কাজের তদারকি করছেন দুজন ছাত্র।
একজন কাঠমিস্ত্রি জানান, আমাদেরকে মজুরিভিত্তিতে কাজে আনা হয়েছে। আগে এখানে ভোজনবিলাস রেস্টুরেন্ট ছিল। এখন শুনেছি সমন্বয়করা স্টল করছেন।
আরেকজন জানান, সমন্বয়ক শাহেদ ভাই নিজেই স্টল উঠাচ্ছেন বলে শুনেছি। তিনি হয়তো ইজারা নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, আমি যতদূর জানি আমাদের আহত একজন ওখানে বসে ব্যবসা করবেন। ওটা যখন আবার সিটির প্রয়োজন হবে, প্রশাসন আসবে তখনই ছেড়ে দেবে। এটা দখলে নেওয়ার কিছু নেই। এটা দখল কে বলছে? এটা দখল হয় কীভাবে? প্রশাসন যখন নক করবে তখনই দিয়ে দেবে।
তিনি স্বীকার করেন, সড়ক ও জনপথের জমিতে স্থাপনা উত্তোলনে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সওজ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে রূপাতলী সমাজসেবা অফিসের সামনে আমাদের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে কাউকে নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি। কেউ স্থাপনা নির্মাণ করছেন কিনা তা লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। উচ্ছেদ হওয়া জমিতে পুনরায় ঘর তোলা হলে উচ্ছেদ করা হবে।
Post Comment