বরিশালে তৃতীয় সারির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন!
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ১০ মাসেও প্রকাশ্যে আসতে পারেনি টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। বারবার ফিরে আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলটি। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সবধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বসে নেই বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং দেশে গা ঢাকা দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা। তারা এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে নতুন করে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর কে জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার ঐ প্রতিবেদন থেকে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে দেশের সবকটি বিভাগীয় শহরে কর্মসূচি পালন করতে কিছু তৃতীয় সারির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার বরিশাল অঞ্চলের এক কর্তা জানান,বরিশালে ১৬ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বেশকিছু ঝটিকা মিছিল করার পরিকল্পনা আছে আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে যাদের কোন মামলা নেই সেরকম নেতাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করে তাদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ দিয়ে লোকসমাগম করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসাথে আওয়ামী লীগের নারীনেত্রীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃতীয় সারির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে এ সকল কর্মসূচি পালন করানো।ইতিমধ্যেই পলাতক সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ এ সকল নারী নেত্রীদের সাথে অনলাইন এ যোগাযোগ করে সকল কর্মকান্ড বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থক দের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি বরিশাল নগরীর এক নারী ব্যবসায়ী নেত্রীর অফিসে সাবেক একাধিক নারী কাউন্সিলর বৈঠক করেন।
ইতিমধ্যেই পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর বরিশাল পুলিশ প্রশাসণ নড়েচড়ে বসেছেন। বিভিন্ন এলাকায় নেতাদের বাসা ও সম্ভাব্য অবস্থানের পয়েন্টসমুহে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা।
পুলিশের একটি সুত্রের দাবী, বরিশালে আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে বিএনপি নেতাদের দায়ের করা যে মামলা গুলো রয়েছে সেখানে কোন আওয়ামীলীগের নারী নেত্রীদের নাম এজাহার এ নেই।সেক্ষেত্রে তাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে তারা সক্রিয় রয়েছেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন,
যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া আছে যাতে তারা(আওয়ামী লীগ) কোন কর্মসূচি পালন করতে না পারে।এ ছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় টহল ও আসামী গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
Post Comment