বরিশালে তেলবাহী ট্রলারে আগুন, দগ্ধ ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী একটি ট্রলারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারি এলাকায় যমুনা অয়েল ডিপোতে নোঙর করা ট্রলারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন ট্রলারের স্টাফ রুবেল হোসেন (২৯), মানিক (৩০), সম্পদ (২২) এবং মান্না (২৪)।
তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যমুনা অয়েল ডিপো থেকে এমএল রাশিদা-রাহিমা ট্রলারটিতে পিপায় করে জ্বালানি তেল লোড করা হচ্ছিল। ট্রলারটিতে মুরগির ফিডও ছিলো। এ সময় হঠাৎ করেই ট্রলারের ইঞ্জিন রুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো ট্রলার। জ্বালানি তেলে আগুন লাগার ফলে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ওয়াটার বোট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
রশিদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন ট্রলারের স্টাফ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বরিশাল থেকে মাল নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া যাই। ৭৮ ব্যারেল জ্বালানি এবং মুরগির খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। এ সময় ইঞ্জিন রুম থেকে তেলের ড্রামে আগুন ধরলে মুহূর্তের মধ্যে তা ট্রলারে ছড়িয়ে পরে।
’
তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিনের আগুনে চারজন দগ্ধ হয়। আমি ও ট্রলারের অপর স্টাফ দুলাল ট্রলার থেকে পানিতে লাফ দেই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে তেলের ড্রামে আগুন লাগতে পারেনি। আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।’
নৌ পুলিশের সদস্য মো. সোহেল বলেন, ‘আহতদের কয়েকজনের বুক ও হাত পুড়ে গেছে। উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি। ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে সেটা নোঙর করা হয়েছে। ট্রলারের ইঞ্জিন থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে তারা জানতে পেরেছি।’
মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানায়, দগ্ধ ৪ জনের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
Post Comment