বরিশালে নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততোই নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সোচ্চার হচ্ছে। সবার উদ্দেশ্য নির্বাচন সুন্দর করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। এর অংশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। এর ধারাবাহিকতায় ফান্ডেট বাই ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান পাটনারশিপ ডেমোক্রেসির অর্থায়নে এবং লাইট হাউস, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, রূপান্তর এবং এফিড এর বাস্তবায়নে এই প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়
জাতীয় নির্বাচনের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘমেয়াদী ও নির্বাচন দিবসের পর্যবেক্ষণ”। নাগরিকরা দীর্ঘ সময় ধরে এবং নির্বাচনের দিন কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে সে বিষয় প্রশিক্ষণ চলছে বরিশালে। এ বিষয় অংশগ্রহণকারীদের বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ রোকুনুজ্জামান প্রশিক্ষণ দেন। বরিশালের উন্নয়ন সংস্থা রুপান্তরের আয়োজনে সিএন্ডবি রোডস্থ এনজিও ফোরাম এর
কার্যালয়ে ২ দিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে বরিশাল জেলা উপজেলা ও বিভাগ থেকে পর্যবেক্ষকগন অংশ নেন। নাগরিক পর্যবেক্ষণ সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, জবাবদিহিমূলক দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নির্বাচন দীর্ঘমেয়াদী নির্বাচন দিবসের পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের ২০২৬ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যাতে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিয়ে আসে এবং স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ নাগরিকদের একটি দল দীর্ঘমেয়াদী ও নির্বাচনকালীন সময়ে পর্যবেক্ষণ এ কার্যক্রম চালাবে বলে জানান প্রশিক্ষকরা। ৬৪ টি জেলার ১৭৫ টি আসন নিয়ে কাজ করছে রূপান্তর। রূপান্তরের সাথে আরও ২৭ টি প্রতিষ্ঠান এক যোগে কাজ করছে। এসময় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল নির্বাচন অফিসার এইচ এম গোলাম মোস্তফা, রূপান্তরের প্রশিক্ষক আতাবুর রহমান টিপু, রূপান্তরের আঞ্চলিক সমন্বয় নুর ই আলম (রাজা) হায়দারী, এস ডি এস তানভির আহম্মেদ কামাল।
সমাপনি প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি বলেন, সংবিধান, আইন ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উপহার দিতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে পর্যক্ষেকদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলকে রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব সুপারভাইজারি মেকানিজম থাকবে, অফিশিয়াল মেকানিজম থাকবে। কিন্তু আপনাদের চোখ দিয়েও আমরা এই নির্বাচনকে দেখতে চাই। যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, তারা নির্বাচনসংক্রান্ত কাজগুলো স্বচ্ছভাবে হচ্ছে কিনা এবং আচরণবিধিমালা ও আইনগুলো সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের জন্য যাদের নিয়োগ করা হবে, তারা যাতে দলীয় প্রচার-প্রচারণা করে কাউকে প্রভাবিত করতে না পারেন, সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। তাদের দায়িত্বই হবে পর্যবেক্ষণ করা। কোনোভাবেই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা পর্যবেক্ষকদের কাজ নয়।



Post Comment