Loading Now

বরিশালে ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তর, বাস্তব ও করনিয় বিষয় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে হ্রাস করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বরিশাল বিভাগের ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তর, বাস্তব ও করনিয় বিষয় বিভাগীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ জুন) দুপুরে বিডিএস হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক এর সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন। অতিথি হিসেবে ছিলেন স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাহিদা খানম, ওজোপাডিকো-১ এর সহকারী প্রকৌশলী মো: জাহিদ হোসেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ অহেদ মুরাদ, ববির এ্যাসুসুয়েট প্রফেসর ড. হাফিজ আশরাফুল হক শাহাবাজ, আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, ম্যাপ এর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবর্তী, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, ব্রাক এর প্রতিনিধি বিভাস চন্দ্র তরফদার সহ

 

সভায় অংশ নেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর জ্বালানি চাহিদার প্রধান অংশ পূরণ করছে জীবাশ্ম জ্বালানি। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর নির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই।

সভায় বলা হয় কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সমন্বয়ে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি এবং পরিকল্পনা অসামঞ্জস্যতা সংশোধনপূর্বক ‘জাতীয় জ্বালানি নীতিমালা’ প্রণয়ন করা, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে মোট ব্যবহার্য জ্বালানির ৩০ শতাংশ, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য ও সবুজ জ্বালানিতে রুপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জনস্বার্থ উপেক্ষাকারী ও আন্তঃদেশীয় কর্পোরেট স্বার্থ সংরক্ষণকারী যে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকতে হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কৃষি ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণের আগে বিকল্প উৎস বাড়ির ছাদ, পতিত ও অব্যবহৃত জায়গার কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশের উপর কর রেয়াত ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও আলোচনায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সামাজিক প্রেক্ষাপটকে আমরা গুরুত্ব দেই। আবার আমরা অনেকেই প্রকল্পভিত্তিক কাজ করে থাকি। অন্যান্য সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেমন সুশীল সমাজের অ্যালায়েন্স আছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও অ্যালায়েন্স নেই, দৃশ্যমান না।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে কিন্তু গণমাধ্যমের কারণে। যার ফলে এই ক্যাপাসিটি চার্জ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং অনিয়ম নিয়ে আমরা সুশীল সমাজ কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED