বরিশালে পৃথক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরিশালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যা এবং গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন বলে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান।
দণ্ডিতরা হলেন- উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের বাসিন্দা সোহেল সরদার (৩৯) এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষ্ণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় গাজী (৩৪)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রেম করে উজিরপুরের দক্ষিণ মাদারসী গ্রামের বাসিন্দা সাইপ্রাস প্রবাসী সেলিম মোল্লার মেয়ে ফেরদৌসি জাহান সুমীকে বিয়ে করেন সোহেল সরদার। পরে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তাকে নির্যাতন করে ২০০৯ সালের ২২ জুন হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় সুমীর মা নাসরিন বেগম ছয়জনকে আসামি করে ওই বছরের ৩ জুলাই উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উজিরপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত শুধু মাত্র সোহেলকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় রায়ে।
আরেক মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাকেরগঞ্জের আতাকাঠি গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা গৃহবধূ মাকসুদা বেগমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১৫ জুলাই নিহতের ভাই ফিরোজ হাওলাদার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আফজাল হোসেন তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর হৃদয় গাজী একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হৃদয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
Post Comment