বরিশালে সালিশ বৈঠক শেষে হামলা, অতঃপর
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
সালিশ বৈঠক শেষে রায় না মেনে প্রতিপক্ষের হামলার অপরপক্ষের আহত বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। রোববার দুপুরে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনের নামোল্লেক করে মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত রাবেয়া বেগম বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের স্ত্রী। মামলার বাদি নিহতের নাতী জুলহাস খান অভিযোগ করে বলেন, ঢাকায় বসবাসরত তার মামা কামাল হাওলাদার অতিসম্প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে একই বাড়ির আবুল কালাম আজাদসহ তার ছেলে বানারীপাড়া ভূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদার, অপর ভাই লিজন, নান্টুসহ অন্যান্যরা বাঁধা প্রদান করেন।
এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরধরে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে স্থানীয় সমাজ সেবক সুমন হাওলাদার ও শহিদ খানসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক বসে।জুলহাস খান আরও জানান, সালিশ বৈঠকের রায় আমার মামা মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ সুজন হাওলাদার গংরা মেনে নেয়নি। তারা সালিশ বৈঠক শেষে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে রাবেয়া বেগম, লিমা বেগম, রুমা বেগম, কামাল হাওলাদার ও জুলহাস খান আহত হয়।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও ওইদিন গভীররাতে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাকে শনিবার (১৭ মে) সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওইদিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাবেয়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সুজন হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
Post Comment