Loading Now

বরিশাল আ’লীগের পলাতক নেতা ও এমপিরা সরব ফেসবুকে!

 

♦সুমাইয়া জিসান ।।

৫ আগস্ট দুপুর ১২ টার কিছু সময় পর পুরো বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়ে যায় দুর্দান্ত প্রতাপশালী আওয়ামীলীগের মসনদ খানখান হয়ে যাচ্ছে। হয়েছিল তাই, দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত পালান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার পালানোর মধ্য দিয়ে দেশে পতন ঘটে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের একতরফা শাসনামলের। যদিও দেশের পরিনতি খারাপ চিন্তা করে ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছেড়েছেন বরিশালের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের এমপিরা। তবে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা ৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিএনপি জামাত নিধনে এলাকায় এলাকায় সক্রিয় থাকলেও দুপুর ১২টার পর গা ঢাকা দেন। আবার বিএনপির কিছু ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সাথে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিজ এলাকায় কিংবা নিজ বসতঘরে আত্নগোপনে চলে যান। তবে এ সকল নেতাদের মধ্যে যারা আইনজীবী তারা রয়েছেন স্বস্তিতে। তাদেরকে সরকার পতন হলেও কেউ কোন ডিস্টার্ব করেন নি। অন্যদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশকে উত্তপ্ত করতে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন কিছু নেতারা। এদের মধ্যে বরিশালে কাজ করা সরকারের সামরিক পযার্য়ের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ৪/৫ টি ফেসবুক আইডিকে সনাক্ত করেছে। এদের মধ্যে ২ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ বরিশাল মিডিয়া সেল নামে একটি গ্রুপ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার তার ব্যবহৃত ০১৭১২০৪৯,,,, নাম্বার থেকে দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটের সময় একটি স্কীনশর্ট সহ পোস্ট দেন এখানে সরাসরি লেখেন বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র পরিণত করে। ৭১ এর পরাজিত হায়নাদের হাতে তুলে দেয়ার নীলনকশা আঁকা হচ্ছে।এরকম আরও বেশকিছু পোস্ট দিয়েছেন বলরাম পোদ্দার। নিজের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গ্রুপে সাম্প্রদায়িক উস্কানির কাজটি ভালই করছেন শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগেই ভারতে পালিয়ে যাওয়া বরিশাল – ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, তার লেখনি এমন যেন ভারতের সাথে এবার যুদ্ধ কনফার্ম কনফার্ম। অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার ঐ সূত্রটি আর দাবি করেন বাংলাদেশ উইথ মিশন এবং জয় বাংলা পেইজে বিএম কলেজের এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা মইন তুষার বিভিন্ন গুজব মূলক পোস্ট দিচ্ছেন। অন্যদিকে পতিত সরকারের বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজ থেকে সরকারবিরোধী কোন পোস্ট না দিলেও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচির পোস্ট শেয়ার করছেন।আবার তার অনুসারীরা ফেসবুকে ফিরে আসার প্রহর গুনছেন। যদিও গোয়েন্দা সংস্থার ঐ সূত্রের দাবি এ সকল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে হয়ত কেউ দেশের বাইরে আছেন।সবাই আমাদের মনিটরিং এ আছন। সঠিক সময়ে নির্দেশনা পেলে এদের ধরা হবে। অন্যদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের কাউকে গ্রেপ্তার করলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারাই ফোন দেন তাদের পক্ষে, ফলে পুলিশও উৎসাহ হারায়। অন্যদিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের কাউকে আটক করেছে এর জন্য ফোন দিয়েছি এমনটা প্রমানিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দিব। আমরা দায়িত্বশীল পদে রয়েছি পাশাপাশি আমি একটা মামলার বাদি সেখানে আটককৃতকে ছাড়ানোর ব্যাপারে ফোন দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে যে সকল নেতারাব৫ আগস্টের পর নিজেদের বিরাট কিছু দাবি করছেন তারা এমনটা করে থাকতে পারেন।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED