Loading Now

বরিশাল-ঢাকাসহ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ঘন কুয়াশার কারণে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রীবোঝাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ঘোষণার পর লঞ্চে থাকা যাত্রীরা একে একে লঞ্চ ত্যাগ করেন।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ এই ঘোষণা দেয়। এ সময় লঞ্চে থাকা যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে লঞ্চ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে যান।

এম খান-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শুভ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আপাতত লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’ তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লঞ্চ বন্ধ রাখার নির্দেশনা সকাল কিংবা দুপুরের দিকে দেওয়া উচিত ছিল। রাতে হঠাৎ করে এই ঘোষণা দেওয়ায় যাত্রীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক যাত্রী ঢাকায় যাওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে, প্রয়োজনীয় মালপত্রসহ লঞ্চে উঠেছিলেন। এখন তাদের আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এসে লঞ্চ বন্ধের খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. সোলায়মান বলেন, ‘নৌযান, যাত্রী ও যানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।’

এদিকে সকাল থেকেই বরিশালে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিনই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করেছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ এবং ঘোষেরহাট থেকে ঢাকাগামী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে রাত আড়াইটার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ‘জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চারজন যাত্রী নিহত হন।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED