বরিশাল বিসিকের কাশবন এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটা
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বরিশালের ৩৫ একর জমিতে জন্ম নেওয়া কাশবন এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই বিসিক এলাকায় দূর দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আর এখানেই ঘটছে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। বরিশালে অধিকাংশ জায়গায় প্রশাসনের নজরদারি থাকায় এক শ্রেনির মানুষ অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার জন্য এই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এলাকাকে বেঁচে নিয়েছে। এখানে বসে একের পর এক অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। জানেনা প্রশাসনও।
বিসিক শিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায়, এখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের প্লটে বালুর মধ্যে জন্ম নেওয়া কাশফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।
আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মাদকসেবীরা দখলে রাখেন কাশবনের ভেতরের বিভিন্ন স্পট। এমনকি বিসিকের পেছনের দিকে কাশফুলগুলো বড় হওয়ায় তরুণ-তরুণীরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জাহিদুল হাসান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এই কাশবনের কারণে বিসিক শিল্প নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা চোর-ডাকাত ও বহিরাগতদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সবাই যে যার মতো যখন তখন ঢুকে পড়ছে বিসিকের মধ্যে। কোনো বাধা না থাকায় এখানে মাদকের একটা অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে।
বিসিকে ঘুরতে আসা সোহাগ নামে একজন বলেন, কাশবনের খবর পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছিলাম, কিন্তু কিছু যুবক এখানে ব্যাপক উশৃঙ্খল আচরণ করে ঘুরতে আসা লোকজনদের সঙ্গে।
বিসিক মালিক শিল্প সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, দ্রুত এই কাশবনের ঘাস অপসারণ করা জরুরি। নয়তো যেকোনো সময় একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ এলাকায়। এ জন্য বিসিক জেলা কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে বিশাল একটি অংশ জুড়ে কাশবন জন্ম নিয়েছে। এজন্য অনেক লোকজন ঘুরতে আসে। আবার কিছু বখাটে ছেলেরা নানা ধরনের অপকর্ম করে বলেও অভিযোগ পেয়েছি। তাই বিসিক শিল্প মালিকদের নিজ উদ্যোগে ঘাসগুলো অপসারণের জন্য অনুমতি দিয়েছি।
Post Comment