Loading Now

বরিশাল সদর হাসপাতালের চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বরিশাল (সদর) জেনারেল হাসপাতালের ভেতরের রাস্তাগুলোর বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। এটি এখন রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য এক বড় দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় সর্বত্রই বড় বড় গর্ত, ভাঙা ইট ও জমে থাকা পানি চোখে পড়ে।

রোগী বহনের অ্যাম্বুলেন্স ও হুইলচেয়ার চলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় রোগী ও স্বজনদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

একজন রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালের ভেতরের রাস্তা এত খারাপ যে রোগী নিয়ে ঢোকার সময় হুইলচেয়ার আটকে যায়।”

স্থানীয় বাসিন্দা জেসন পলাস বিশ্বাস বলেন, “বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ভিতরের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডের সংযোগ রাস্তা, এমনকি ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের পথ পর্যন্ত ভাঙাচোরা। ভবন নির্মাণ ও ভারী গাড়ি চলাচলের কারণে ক্ষতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও ডায়রিয়ার রোগীরা হাসপাতালে ঢোকার সময় বড় গর্তের কারণে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি পায়। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো জলে ভরে যায়। তাই দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।”

পেশির জয়েন্টে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী মো. রাব্বি বলেন, আমি ব্যথা নিয়ে অটোরিকশায় হাসপাতালে আসছিলাম, ঢোকার সময় ঝাঁকুনিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটা ভাঙাচোরা অবস্থায় দেখছি। রাস্তা ঠিক হলে হাসপাতালের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনি গর্ভবতী মায়েদের কষ্টও কমবে।”

হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, যে রোগীরা হেঁটে আসতে পারেন না, তাদের হুইলচেয়ারে করে আনতে হয়। কিন্তু রাস্তাগুলো খারাপ থাকায় অনেক সময় মেডিসিন, ল্যাব বা শিশু ওয়ার্ডের সামনে গাড়ি ঢোকাতে সমস্যা হয়। বৃষ্টি নামলে অবস্থা আরও খারাপ হয়। বিশেষ করে ডেলিভারি রোগীদের ঝাঁকুনি লাগলে ব্লিডিং হতে পারে। তাই রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত করা জরুরি।”

এ বিষয়ে বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ড. এস. এম. মনজুর-এ-এলাহী বলেন, “হাসপাতালের রাস্তার অবস্থা সত্যিই খারাপ। পিডব্লিউডি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ করার সময় সামনের গেট ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি পিডব্লিউডিকে বহুবার বলেছি রাস্তা মেরামতের জন্য, ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি সংস্কার করেছি—ইমারজেন্সিতে স্লোপ তৈরি, ভবনের ছাদ ও স্টোর রুমের লিকেজ মেরামত, থাই গ্লাসের কাজ সম্পন্ন করেছি। তবে নাইট সিকিউরিটি না থাকায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।”

স্থানীয়রা ও হাসপাতালের কর্মীরা জানান, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ভেতরের রাস্তা দ্রুত সংস্কার হলে রোগী সেবার মান আরও উন্নত হবে।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED