Loading Now

‘বাকসু’ নাম বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন পাওয়া ‘বাকসু’ নাম বাতিল ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ গোলচত্বরে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ববি শিক্ষার্থীদের ইঙ্গিত করে ‘বাকসু চোর’, ‘বাকসু চোর’ বলে স্লোগন দেন।

সস্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র সংসদের নাম বাকসু হিসেবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন সাব্বির জানান, ‘বাকসু’ বিএম কলেজের পুরোনো ঐতিহ্য। বরিশালের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস ‘বাকসু’। হুট করে কেউ এসে এই নাম দাবি করবে তা আমাদের জীবন থাকতে হবে না।’

শিক্ষার্থী সুমি হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ‘বাকসু’ নিয়ে আন্দোলন করছি। বাধ্য হয়ে দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘বাকসু বিএম কলেজের ৭২ বছরের ঐতিহ্য। হুট করে কেউ এসে বাকসু নাম দাবি করবেন, তা আমাদের জীবন থাকতে হবে না। তাঁরা যদি এই নাম নিয়ে টানাটানির সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বরিশালে তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

এদিকে মহাসড়ক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল বন্ধ হলে দূরপাল্লা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের এসে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুনুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে নথুল্লাবাদ এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

জানা গেছে, বরিশালের বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নাম ১৯৫২ সাল থেকে বাকসু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি ববি সিন্ডিকেটে তাদের ছাত্র সংসদের নামও বাকসু হিসেবে অনুমোদন দেয়। এর আগে বিএম কলেজ ও ববি সমঝোতা বৈঠকে বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED