বাবুগঞ্জে ছাত্রদল দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক হত্যা: ১২ আসামি কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বাবুগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে রবিউল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফারুক হোসেন শুনানি শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। নিহত রবিউল ইসলাম বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রবাসী মিজানুর রহমান ওরফে দুলাল হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত রবিউল ইসলাম কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে বাবুগঞ্জে আসেন। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মিষ্টি বিতরণকে ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে রবিউল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা চাকু, ছোরা, সুইচ গিয়ার, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হালিমা মান্নান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এবং সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। নিহতের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে দাফন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের বক্তব্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন : বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুর মল্লিক এলাকার নাবিদ হাসান শান্ত, মিজানুর রহমান কবিরাজ, মো. বাবুল হাওলাদার, চর হোগলা এলাকার সফিউল আজম শাহিন ফরাজী, এমদাদুল হক মিলন ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, খান মো. সোহাগ, সফিকুল ইসলাম সবুজ হাওলাদার, রফিক মুন্সি, সুমন বেপারী ও আব্দুল্লাহ হাওলাদার।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হয় সোমবার। এরপর বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে সকল আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।



Post Comment